Weather Update:দক্ষিণে বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ,ঝড় বৃষ্টি তুলনায় উত্তরের আকাশ খানিকটা পরিষ্কার

26

ডিজিটাল ডেস্ক ৭ জুনঃ আজ থেকে উত্তরবঙ্গেও কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে। তবে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই নেই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। দার্জিলিং, কালিম্প্‌ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ‘কোচবিহার’ উত্তর দিনাজপুর’ দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা সহ সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে । ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হওয়া বইবে। তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং,আলিপুরদুয়ার , কোচবিহার , জলপাইগুড়ি এই জেলাগুলিতে। তবে আগামীকাল, রবিবার শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে(Weather Update)।

দক্ষিণবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি সহ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে গরম ও অস্বস্তি থাকবে। শনিবার থেকে শুষ্ক ও গরম হাওয়া বেশি থাকবে কলকাতা, হাওড়, হুগলি ,পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম্ , বাঁকুড়া, পুরুলিয়া,বীরভূমে ও মুর্শিদাবাদে। অন্যান্য জেলাগুলিতেও গরম ও অস্বস্তি থাকবে। আগামী সপ্তাহের বুধ-বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। পরপর পশ্চিমী ঝঞ্চায় গরম হওয়ার প্রভাব বাড়ছে উত্তর ও পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে এবং পুবের বেশ কিছু রাজ্যেও । মৌসুমী অক্ষরেখা দুর্বল হচ্ছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না। বরং বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম এই সপ্তাহে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাইমেটের’ প্রেসিডেন্ট জিপি শর্মা অবশ্য মনে করছেন, কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে খুব ধীর গতিতে হলেও মৌসুমি বাতাসের অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা এখন রয়েছে। তবে সমুদ্রে নতুন সিস্টেমটি তৈরি না-হলে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ এলাকা-মৌসুমি বায়ুর নাগালের বাইরেই থেকে যাবে। তার আগে পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, মানে এখন যেটা মাঝেমধ্যে হচ্ছে, সেই প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি টুকুই দক্ষিণবঙ্গের প্রাপ্তি।