ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ জুন : ইজরায়েল শুক্রবার সকালে ইরানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ শুরু করেছে, দাবি করা হয়েছে যে এটি আত্মরক্ষার স্বার্থে নেওয়া পদক্ষেপ। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ইরানের পরমাণু ও সামরিক কেন্দ্রগুলিতে বিমানহানা চালানো হচ্ছে (Israel Attacked Iran)। হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে নাতানজ্ ইউরেনিয়াম কেন্দ্র, যা দক্ষিণ-পূর্ব তেহরান থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ইরানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সাধারণত পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন। ইরান দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে, যা তাকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে। এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইজ়রায়েলের হামলার পরই প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই এক বিবৃতিতে ইজ়রায়েলকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সতর্ক করে বলেছেন যে ইজ়রায়েলকে ‘খারাপ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইরানের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তেহরান ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করছে। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইজ়রায়েল জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে। এই সংঘাতের সাম্প্রতিক আপডেট জানতে এই প্রতিবেদন দেখতে পারেন।
ইজ়রায়েলের হামলায় ইরানের দুই পরমাণু বিজ্ঞানী এবং রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর কমান্ডার হোসেন সালামি নিহত হয়েছেন। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে, ইজ়রায়েলি সেনা (আইডিএফ) দাবি করেছে যে তাদের হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অফ স্টাফ) মহম্মদ হোসেন বাগেরি নিহত হয়েছেন। যদিও ইরানের একাধিক সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে, তবে সরকারি সংবাদমাধ্যম এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।