Ahamedabad Air Disaster:বিমান দুর্ঘটনার আবহে এয়ার ইন্ডিয়ার “প্রাক্তন ক্য়াপ্টেন ও চিফ ম্যানেজার ফ্লাইট সেফটি” নন্দিতা হালদারের বিস্ফোড়ক অভিযোগ
ডিজিটাল ডেস্ক ১৪জুনঃ দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে ককপিট থেকে ভেসে এসেছিল শেষ বার্তা— “মে ডে, মে ডে… নো পাওয়ার নো থ্রাস্ট, গোয়িং ডাউন…” তারপরই হটাৎ বৃহস্পতিবার আমেদাবাদে আছড়ে পড়ে ,এয়ার ইন্ডিয়া ‘ড্রিমলাইনার’ 171 বিজে মেডিক্যাল কলেজের মেসে । কারও স্বপ্ন ছিল বাবার সেবা করবেন, কাউকে দেখে আবার স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছিল অনেকে। ঠিক সেই সময়ই ঐ মেডিক্যাল কলেজেরই কিছু স্টুডেন্ট ওই মেসেই সাধারণত লাঞ্চ করছিলেন হস্টেলের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, পোস্টগ্র্যাজুয়েট পড়ুয়া এবং রেসিডেন্ট ডাক্তাররা। কে জানত ঐটাই ছিল তাদের শেষ খাওয়া!রোজের মতোই গমগম করছিল সেদিনের ওই মেস।
আজ তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কান্নার রোল এখনও মেটেনি। ফিরে পায়নি অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহটুকু। এই আবহেই অনেক জল গড়িয়ে গেছে অনেক। কাদের দোষ, কোথায় গলদ,কি জন্য আজ এত বড় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নানা মহলে।
এরই মধ্যে আমাদের কাছে সাক্ষাৎকার পর্বে উঠে এসেছে ,এয়ার ইন্ডিয়ার এক প্রাক্তন কর্মী এবং এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্য়াপ্টেন নন্দিতা হালদারের বিস্ফোড়ক অভিযোগ, তিনি আবার প্রাক্তন চিফ ম্যানেজার ফ্লাইট সেফটি বিভাগেও ছিলেন এই এয়ার ইন্ডিয়াতেই(Ahamedabad Air Disaster) ।
১)এয়ার ইন্ডিয়ার টপ ম্য়ানেজমেন্টের বিরুদ্ধে নন্দিতা হালদারের অভিযোগ খরচ বাঁচাতে যাত্রী সুরক্ষায় কোপ দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া
২) বিমানের রক্ষনাবেক্ষন থেকে কর্মী প্রশিক্ষন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কর্মী প্রশিক্ষন করা থেকে রক্ষনাবেক্ষনের গাফিলতির অভিযোগ নন্দিতা হালদারের গলায়।
৩)পাইটলদের ফ্য়াটিগ রিপোর্ট অগ্রাহ্য় করে এয়ার ইন্ডিয়া অভিযোগ নন্দিতা হালদারের। তার কথায় কোন পাইলট যদি ফ্যাটিগ হয়ে যায় একটি ফ্লাইট চালিয়ে বা ওই পাইলটের যদি ফ্লাইট প্যাটার্ন টা ঠিক না লাগে ফ্যাটিগ মনে হয়। তারই কথায় উঠে এসেছে এয়ার ইন্ডিয়ার মধ্যে এই অভিযোগ উঠে এসেছে অনেকবার।
৪)ক্যাপ্টেন নন্দিতা হালদা আরও বলেছেন যে কোনও দুর্ঘটনা একটা ভুলের জন্য হয় না,কারণ ক্যাপ্টেনও চায় নিজের জীবন বাঁচাতে।
এয়ার ইন্ডিয়ায় বিদেশি সিইও কাম্বেল উইলসনের নিয়োগ নিয়েও বড় অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিযোগ করেছেন নতুন সিইও আসার পর থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।
৫)ক্যাপ্টেন নন্দিতা হালদার সিইও কাম্বেল উইলসনের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন ভারতের মতো ‘বিবিধের মধ্যে ঐক্য’ বুঝতে অক্ষম সিইও। তিনি এও বলেছেন যদি সিইও যোগ্য হতেন তাহলে তো আমারা এই ক্রাশটা দেখতাম না।” ক্যাপ্টেন নন্দিতা হালদারের অভিযোগ এই ক্রাশটা একটা “বড় মার্ক অফ ফেইলইয়ার।”
৬)সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির গ্রুপ হেড হিসেবে বিদেশি নিয়োগে প্রশ্ন ছারাও এয়ার ইন্ডিয়ার পলিশি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দেন। তিনি তার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অভিযোগ করেন যে, যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার পলিশি একদমই ঠিক নয়। তার কথায় উঠে এসেছে তাদেরকে এয়ার ইন্ডিয়া জোর করত, কোনরকম প্রশিক্ষণ ছারাই ভিন্ন ধরনের প্লেন চালাতে ।
৭) শেষ ২ বছরের সেফটি প্রোটোকল নিয়ে অনেক সমস্যা আছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন চিফ ম্যানেজার ফ্লাইট সেফটির। ডিজিসিএ -র কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন আধিকারিক। সব পাইলট, কেবিন ক্রুরা চাপের মধ্যে কাজ করছেন বলে অভিযোগ নন্দিতা হালদারের। এও অভিযোগ করেছেন এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার,তারপর তদন্তে নেমেছে ডিজিসিএ।