Tollywood Controversy:‘স্বামী দেহে থাকলে…’, শাঁখা-পলা বিতর্কে মধুবনী, প্রবল মুখর টলিটাউন

19

ডিজিটাল ডেস্ক১৯জুনঃ সমাজমাধ্যমের পাতায় অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামীর পোস্ট উস্কে দিয়েছে বিতর্ক। মোটা শাঁখা-পলা পরা নিয়ে তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। অভিনেত্রীর দাবি ছিল, মোটা শাঁখা-পলা পরার প্রচলন শুরু করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি লিখেছিলেন ‘স্বামীর দেহে থাকা জরুরি’। এই লেখা পড়ে বেজায় চটেছেন দর্শকের একাংশ। মধুবনীর দাবি, ফ্যাশন নয়, স্বামীর মঙ্গলের জন্য শাঁখা-পলা পরা উচিত সব বিবাহিত মেয়ের। অভিনেত্রীর লেখা পড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, “শাঁখা-পলা না পরলে কি প্রমাণিত হয়, সেই বিবাহিত মেয়ে তাঁর স্বামীর মঙ্গল চায় না?” মধুবনীর শিক্ষা ও রুচি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এই বিষয়ে কী বলছেন টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা?

ইদানীং শুধু ভারতীয় নয়, যে কোনও ধরনের পোশাকের সঙ্গে শাঁখা আর পলা পরার স্টাইল দেখা যায়! অনেক অবিবাহিতও নানা ভাবে পলা পরেন। আর কোনও অনুষ্ঠান হলে তো কথাই নেই। যে কোনও পুজোপার্বণে শাঁখা-পলা, সিঁদুর পরে অভিনেত্রীদের সুন্দর করে সাজতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে অপরাজিতা আঢ্য বললেন, “আমাদের প্রজন্মের অনেকে আগে ভাবতেন ডেনিমের সঙ্গে শাঁখা-পলা পরা যায় না। এ সব পরলে গ্রাম্য দেখায়। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি স্মার্ট। শাঁখা-পলাও এত সুন্দর করে পরে। ‘গাঁইয়া’ বা ‘গ্রাম্য’ মন্তব্য করার প্রশ্নই ওঠে না।” সিঁদুর, শাঁখা-পলা ‘এয়োস্ত্রী’র চিহ্ন বলে মনে করেন অনেকেই, অর্থাৎ যে হিন্দু নারীর স্বামী সশরীরে বর্তমান, সধবা। অভিনেত্রী যোগ করেন, “জানা দরকার, কেন পরা হয় শাঁখা-পলা, সিঁদুর। তার পর কোনও মন্তব্য করা উচিত। অবিবাহিতদেরও এখন পলা পরতে দেখি। আর সবই আমাদের মনের ব্যাপার। মধুবনী কেন এই মন্তব্য করেছেন তা বলতে পারব না। তবে আমি এ ভাবে বিষয়টাকে দেখি না(Tollywood Controversy)।”

অভিনেত্রী অহনা দত্ত, শ্রীময়ী চট্টরাজেরও একই মত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের সিঁদুর, শাঁখা-পলা পরে সাজতে দেখেছেন সবাই। অহনা বললেন, “মধুবনী কোন ভাবনাচিন্তা থেকে এই মন্তব্য করেছেন আমি বলতে পারব না। আমি মনে করি না, শাঁখা-পলা পরলে তবেই প্রমাণিত হয় যে স্বামীকে ভালবাসি। আমি নিজের শখে সব কিছু করি। সুতরাং কারও মন্তব্য নিয়ে কোনও মতামত দিতে রাজি নই।” শুটিংয়ের জন্য অনেক সময়ই শাঁখা-পলা পরার সুযোগ থাকে না অভিনেত্রীদের। এমনকি অন্য পেশার ক্ষেত্রেও অনেক সময় সমস্যা হয়। শ্রীময়ীও এক মত। তিনি বললেন, “নোয়াবাঁধানো আমি খুলি না। কিন্তু শাঁখা-পলা পরা অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু এর নিরিখে কখনও বিচার করা যায় না এক জন স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কতটা ভালবাসেন বা মঙ্গল চান।” মধুবনীর এই পোস্ট ঘিরে নানা জনের নানা মত। দু’দিন আগে ঠিক কী পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী?

তিনি লিখেছিলেন, “আমি সব রকম আউটফিটের সঙ্গেই শাঁখা-পলা পরি। আমার এখনকার এই সোনালি চুলের সঙ্গেও পরছি। অনেকে আমায় জিজ্ঞেস করেন, আমি কেন শাঁখা-পলা পরি? আমি পরি আমার স্বামীর মঙ্গল কামনায়, স্বামীর শারীরিক এবং মানসিক সুস্বাস্থ্যের কামনায়। এটা আমার বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আমি পরি। আমি মনে করি, শাঁখা-পলা, সিঁদুর এগুলো এমন আভূষণ, যা চাইলেই পরা যায় না। এর জন্য, অবশ্যই প্রাথমিক ভাবে বিয়ে হওয়াটা ম্যান্ডেটরি এবং স্বামীর দেহে থাকাটাও অত্যাবশ্যক। যাঁরা পেশার কারণে পরতে পারেন না, তাঁদেরটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু “এমনি পরি না”, বা “দেখতে গাঁইয়া লাগে” ভেবে যাঁরা পরেন না, তাঁদের অন্তত এটুকু মাথায় রাখা উচিত।”