Bihar Vote Pension Increase : ভোটের মুখে বিহারে বিধবা, বয়স্কদের ভাতা বৃদ্ধি নীতীশের, কত টাকা করে ঢুকবে অ্যাকাউন্টে? জানুন বিস্তারিত

13

ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ জুন : বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার একটি বড় ঘোষণা করলেন—বৃদ্ধ, বিধবা ও বিশেষ ভাবে সক্ষম নাগরিকদের পেনশন এক লাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার (Bihar Vote Pension Increase)। শনিবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এত দিন এই শ্রেণির নাগরিকেরা মাসে ৪০০ টাকা করে পেনশন পেতেন, এখন থেকে তারা মাসে ১১০০ টাকা করে পাবেন। অর্থাৎ, মাসে ৭০০ টাকার বৃদ্ধি। জুলাই মাস থেকেই এই নতুন হারে অর্থ দেওয়া শুরু হবে বলে জানান নীতীশ। রাজনৈতিক মহলে অনেকেই মনে করছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত শাসক জেডিইউ-র পক্ষে সহায়ক হতে পারে।

বিহারে এত দিন ধরে বয়স্ক নাগরিক, বিধবা মহিলা এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন প্রকল্পের আওতায় মাসে ৪০০ টাকা করে পেতেন। এখন সেই ভাতা বেড়ে দাঁড়াল ১১০০ টাকা। অর্থাৎ, এক লাফে ৭০০ টাকার বৃদ্ধি। জুলাই মাস থেকেই এই বর্ধিত ভাতা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের ১ কোটি ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। সরকার নিশ্চিত করবে, প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এই অর্থ সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়।

ভোটের আগে মাত্র তিন মাস বাকি, তার আগেই সামাজিক প্রকল্পে এক লাফে বরাদ্দ বৃদ্ধি যে নির্বাচনী সমর্থন জোগাড়েরই কৌশল—তা স্পষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে তেজস্বী যাদব বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের দাবি তুলে আন্দোলন করে সরকারকে চাপে ফেলেছেন। সেই চাপ কাটিয়ে পালটা চাল হিসেবে এবার ভাতার উপর ভরসা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

ব্যপারটা সত্যিই বেশ মজার—যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি নেতারা বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভাতা রাজনীতি’র কড়া সমালোচনা করেছেন, সেখানে এবার নিজেরাই সেই পথেই হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন। অতীতে ‘রেওড়ি সংস্কৃতি’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ মোদি, তবে নির্বাচনের মুখে একই ধরনের ঘোষণা এবার তার দলকেও করতে হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের পর এবার বিহারেও শুরু হল সেই খয়রাতির পালা। নীতীশ কুমার যেমন সামাজিক প্রকল্পে ভাতা বাড়ালেন, তেমনই তার একদিন আগেই বিহারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মোট ৫৭০০ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করলেন। রাজনীতির পালা যেন এক চক্রবৎ ঘূর্ণির মতো ঘুরে ফিরে আবার সেই ‘রেওড়ি’ বিতরণের দিকেই ফিরে আসে।