Controversial Dilip Ghosh: ‘হঠাৎ বিজেপি’,থেকে বিতর্কিত দিলীপ ,রাজ্য শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচনা

17

ডিজিটাল ডেস্ক ২১জুনঃ রাজনীতিতে সবসময় চ্যালেঞ্জ কঠিন। বঙ্গ বিজেপির এই মুহূর্তের সবচেয়ে বিতর্কিত নেতার নাম দিলিপ ঘোষ। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছিল দিলিপ ঘোষ ব্রাত্য। যখনই তাকে তার নিজের গড় থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলাফল বাংলার বিজেপি হাতেনাতে প্রমান পেয়েছিল দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপির হেরে যাওয়ার পর। যার রেশ দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্ধবোধনের ক্ষেত্রেও অব্যাহত ছিল। যেখানে স্বস্ত্রিক দিলিপ ঘোষকে নিমন্ত্রন জানিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখনও বেশ চরমে। সেই মর্মে আজ যোগ দিবসে একাধিক বিষয়ে চাঁচাছোলা বক্তব্য রাখলেন দিলিপ ঘোষ। তিনি বলেন আমাদের ভারতবর্ষ পরম্পরা সংস্কৃতির অঙ্গ। যোগ ভারতের পরিচয় দিয়েছে। আজ বিশ্বব্যাপী যে “যোগার” প্রচার তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্বই আসল। পতঞ্জলির প্রচার পতঞ্জলি নামে চলছিল।কিন্তু মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২০০টা দেশের যোগ দিবস পালন হচ্ছে আজ। এর জন্যই ভারতের প্রচার সারা দুনিয়ায় চলছে (Controversial Dilip Ghosh)।

পাশাপাশি তিনি বলেন খুব শীঘ্রই রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হয়ে যাবে সারা দেশে। তার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনও। যেখানে তিনি সাম্প্রতিক কালে বাংলার শাসনব্যবস্থা থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থার কড়া নিন্দা করেন।পশ্চিমবঙ্গে যা অবস্থা অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা কেউ দেখেনা বহু বছর ধরে পড়ে রয়েছে। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা বেশিরভাগ কারখানায় নেই। গ্যাসের ব্যাপারেও প্রিপারেশন নেওয়া হয় না। যাদের দেখার কথা তারা দেখেনা সরকার চলছে সরকারের কোন কাজ নেই। যেখানে নাগরিক জীবন সুরক্ষিত করা দরকার সেখানে সরকার মন্দির তৈরি করেছে প্রসাদ বিতরণ, রথযাত্রা নিয়ে মেতে আছে। বাকি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য্‌ ,শিক্ষা কোর্টে আন্দোলনরত। তিনি আরও অভিযোগ করেন এই বলে যে,’সব ডামাডোল সরকারের দেখার কোন রোল নেই’, এভাবে কোন সরকার চলতে পারেনা বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতদিন চুপ ছিলেনআমি বলি না ভাষণ দেয়ার লোক আমি নই কাজ করার লোক। আমি রাজনীতির কার্যক্রমে কম থাকি। সামাজিক অন্যান্য কার্যক্রম কোথাও না কোথাও যাচ্ছি প্রত্যেকদিন। পার্টিতে যারা নতুন নেতৃত্ব এসেছে তারা পার্টিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পার্টি নির্দেশে আমি করি। আমাদের পার্টিতে কে কার যোগ্য দেখার জন্য পার্টিতে লোক আছে। কারোর সার্টিফিকেট এর দরকার নেই। নিষ্ক্রিয় হতে কেউ বলেনি। নতুন করে কমিটি হবে কার্যক্রম শুরু হবে তখন যাব।

হঠাৎ বিজেপি কারা?
পশ্চিমবাংলার যে রাজনীতি সিপিএম থেকে তৃণমূল থেকে আমাদের মধ্যে সেই রোগ এসে গেছে, অপজিশন মানে শত্রু। পার্টিতে এলে মিত্র পার্টিতে চলে গেলে শত্রু। এই কালচার হতে পারে না।। বিজেপির এটা কালচার আমি এটাই বলতে চেয়েছি। আমি এটাই বলতে চেয়েছি রাজনীতির জন্য শত্রু মিত্র হবে না। তাই বলেছি, দিল্লি থেকে দেখা উচিত। তাই দিল্লিতে দেখা উচিত আমাদের।

হঠাৎ সৌজন্যতা নিয়ে পোস্ট কেন?
প্রধানমন্ত্রী থেকে অন্যান্য মন্ত্রীরা বিরোধী দলনেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সম্মান জানিয়েছে, আমাদের এখানে সেটা হজম করতে পারে না।। বিজেপি এই দূষিত রাজনীতি করে না। সংখ্যালঘুরা খেলা করছে তাই হাতে পায়ে পড়ে জেতার চেষ্টা করছে আগে সিপিএম করতে এখন তৃণমূল করছে । রামনবমী যখন হয়েছিল ,যে প্রসাদ বাড়ি বাড়ি গিয়েছিল ,যারা রাম মন্দিরের আয়োজক ছিলেন,তারা বিজেপি করেনি। এখানে সরকার সব দায়িত্ব নিয়েছে । সরকার চালানো পার্টি চালাবে, আর মন্দির চালাবেন তার প্রশাসন। সেখান থেকে প্রসাদ বিতরণ হচ্ছে এটা সরকারের কাজ নয় এটার বিরোধিতা করেছি। যারা তৃণমূল বা সিপিএম থেকে এসেছেন তারা সৌজন্যে অভ্যস্ত নয়। তারা হিংসা রাজনীতি বা দুর্নীতির রাজনীতিতে অভ্যস্ত তাই বিজেপির উদার রাজনীতি সবকা সাত সবকা বিকাশ হজম করতে পারে না। তাই এ ধরনের প্রবলেম হয়। বিজেপির যে নীতি পরিষ্কার আমাদের নেতৃত্ব দেখিয়েছে সেই ভাবেই চলা উচিত বিজেপির না হলেই ডিফারেন্স তৈরি হবে।।

গতকালের যে চিকিৎসক এসেছিলেন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে, তার প্রতিবাদ করেছে সরকার এই অভিযোগও করেন দিলিপবাবু। সে লোকগুলো সম্মান নিয়ে পুলিশ কলার ধরে টেনে নিয়েছে। মমতা ব্যানার্জি গুণগান করেনি বিরোধিতা করেছে। দেশজুড়ে সংবিধান হত্যা দিবস পালন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিরোধিতা করছে। মমতা ব্যানার্জির হাতে সংবিধান হত্যার রক্ত লেগে আছে তিনি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন। সবার সামনে চলে আসবেন তাই ভয় পেয়ে বিরোধিতা করছেন। বর্তমান প্রজন্মের জানা দরকার কিভাবে সংবিধান হত্যা হয়েছিল।