America Accompanied Israel:ইরান-ইসরায়েল ধ্বংসলীলায়,এবার ইসরায়েলের সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়েছে আমেরিকা

10

ডিজিটাল ডেস্ক ২২জুনঃ শুক্রবার থেকে ইজ়রায়েলের সঙ্গে ইরানের যে সংঘাত চলছে, তাতে রবিবার ভোরে যোগ দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন,মার্কিন বাহিনী ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে সমন্বিত বিমান হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্য ছিল ফোর্ডো, নাতানজ এবং ইসফাহান। যেগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে আমেরিকা সরাসরি ঢুকল। দুই দেশের সংঘাতে তৃতীয় শক্তি হিসাবে হস্তক্ষেপ করলেন। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ইরানে আঘাত হানার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, “এবার শান্তির সময়।” সেই সঙ্গে ইরানের উদ্দেশে তাঁর প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি, “এবার শান্তির পথে না ফিরলে হামলা আরও প্রাণঘাতী হবে (America Accompanied Israel)।”

ইরানের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা,“এবার ইরানকে দ্রুত শান্তিস্থাপন করতে হবে,নাহলে বিপর্যয় ঘটবে। গত কয়েক দিনে যে বিপর্যয় বিশ্ব দেখেছে, সেটার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর হবে ওই বিপর্যয়।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি, “আমরা নিখুঁতভাবে হামলা চালিয়েছি। আমাদের আরও টার্গেট বাকি আছে। আজ যে হামলাগুলি হয়েছে,তেমনই কঠিন ও প্রাণঘাতী হামলা চালাব। শান্তি স্থাপন না করলে আমরা আবারও হামলা চালাব। আরও নিখুঁতভাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে।”আক্রমণের মুখে চুপ করে বসে নেই তেহরান। মার্কিন বোমা হামলার নিন্দার পাশাপাশি প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। একইসঙ্গে সেদেশের পরমাণু এজেন্সি আইইওআই বলেছে, ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোর কথা প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে। হামলা শেষে সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে ফিরে এসেছে।’ এর কিছুক্ষণ পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার পোস্ট করেন ‘ফোর্দো ইজ গন’ অর্থাৎ ‘ফোর্দো শেষ।’
সূত্রের খবর, এদিনের হামলায় জড়িত ছিল বিধ্বংসী বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান। এর আগে এই বি-২ স্টিলথ বিমান মার্কিন দ্বীপপুঞ্জ গুয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপরই ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে আমেরিকার যোগদানের সম্ভাবনা প্রকট হয়ে ওঠে। আমেরিকা যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়ায় পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনার পারদ আরও চড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ফোরডো,ইসফাহান এবং নাতান্‌জ়ে আমেরিকার হামলার পর কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না বলে দাবি তেহরানের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘উপরে উল্লিখিত জায়গাগুলির আশপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’’ এর আগে ইজ়রায়েলও ইরানের পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। সে বারও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হয়নি।

আমেরিকার হামলার পর ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংগঠন একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতান্‌জ়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করে ইরানকে তাদের বৈধ অধিকার অর্জনে সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’’ ইরানের স্বার্থে উন্নয়ন বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পারমাণবিক শক্তি সংগঠন। তার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপও করা হবে।