SCO Meeting Update:চিনের sco-বৈঠকে রাজনাথের মোক্ষম খোঁচা পাকিস্তানকে, আলোচনায় চিনের ‘জোর’ বালুচিস্তান,POK তে !

22

ডিজিটাল ডেস্ক ২৬জুনঃ চীনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর সেই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়েই ফের একবার সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ টেনে এনে পাকিস্তানকে নাম না করে খোঁচা দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেছেন,‘কিছু দেশ সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদকে নীতিগত ভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে এবং জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। এই ধরনের দ্বিমুখী নীতির কোনও স্থান নেই। এই প্রেক্ষাপটে কোনও দেশের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে এসসিও-র কোনও দ্বিধা করা উচিত নয়। জঙ্গিরা এখন অস্ত্র ও মাদক পাচারে যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে তার প্রতিরোধ করা উচিত আমাদের। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি, যা কাজের মাধ্যমেই প্রকাশিত (SCO Meeting Update)।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্য নতুন নয়। অতীতে একাধিক সময়ে ইসলামাবাদের দিকে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছে বেজিং। এ বারেও কি চিনের একপেশে মনোভাবের প্রতিফলন ঘটল এসসিও বৈঠকে? উঠছে প্রশ্ন। এরপরই তিনি পহেলগাঁও সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উথাপ্পন করে বলেন,“পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এর নেপথ্যে ছিল লসকর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট। সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করা এবং তার যোগ্য জবাব দেওয়ার অধিকার ভারতের আছে। আর তাই জন্যই অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ফের একবার আমরা গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা এটাও দেখিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদে নেই। আমরা তাঁদের ধ্বংস করেই ছাড়ব।” সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলতে রাজনাথ এসসিও-র সদস্যদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও এসসিও-র ঘোষণাপত্রে পহেলগাঁও নিয়ে কোনও উল্লেখই করা হয়নি। উলটে সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে অশান্তি ছাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। আর এর জেরেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাজনাথ ঘোষণাপত্রে সই করতে অস্বীকার করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুতে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। তার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। গত ৭ মে মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। ভারতের এই অভিযানে পর্যদুস্ত হয় পাকিস্তান। তার পরই সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের একাধিক শহরকে নিশানা করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামাবাদের সব চক্রান্ত বানচাল করে মোক্ষম জবাব দেয় ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় পাকিস্তানের। শেষে পাকিস্তানের অনুরোধ মেনে যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটে ভারত।

উল্লেখ্য, রাজনাথের এই সফরে চিনের বিদেশমন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুন-এর সঙ্গে কথা হতে চলেছে। তাতে পুরনো দিনের মতো ভারত-চিন হটলাইন যোগাযোগের সূত্রপাত সহ সামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার বিষয়ে আলোচনা হবে। ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় ঝামেলায় পর এই প্রথম ভারত-চিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে।