Mamata Banerjee On Election Commission : ‘নির্বাচন কমিশনের ডিক্লারেশন ফর্মে জন্ম সালের উল্লেখ কেন?’, ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

38

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ জুন : জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা আনতে অবৈধ ভোটারদের বাদ দিয়ে সংশোধনের কাজ শুরু করেছে। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যকে পাঠানো হয়েছে একটি ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’, যার কিছু শর্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee On Election Commission)। বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে বিষয়টি নিয়ে সরব হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য কমিশন আমাদের একটি ফর্ম দিয়েছে। তবে সেই ডিক্লারেশন ফর্মে কিছু বিষয় নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। যেমন—ফর্মে বলা হয়েছে, ১৯৮৭ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের তা উল্লেখ করতে হবে। তাহলে তার আগে বা পরে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কি হবে?”

রথযাত্রার উপলক্ষে বর্তমানে দিঘায় অবস্থান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার বিকেলে এক জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নির্বাচন কমিশনের নতুন ডিক্লারেশন ফর্ম নিয়ে কড়া আপত্তি জানান। তাঁর বক্তব্য, কমিশন থেকে তাঁকে দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির ১৮ ও ১৯ নম্বর পাতার নির্দেশিকা পর্যালোচনা করতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে, ফর্ম পূরণের সময় আবেদনকারীদের বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই শর্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, “সবাই কোথা থেকে বাবা-মায়ের জন্ম সার্টিফিকেট জোগাড় করবে?” প্রসঙ্গক্রমে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন তিনি— “আমিও নিজের মা-বাবার জন্মসাল জানি না।”

জাতীয় নির্বাচন কমিশন অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দিতে ২২ বছর পর সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। বিশেষত, বিদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করে তালিকা থেকে সরানোই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে। নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়াতেও বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জন্মের প্রামাণ্য নথি না থাকলে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না। এই নতুন নিয়ম নিয়ে আপত্তি তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আশঙ্কা, এই পদক্ষেপ আসলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এনআরসি-র (NRC) দিকে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে জনগণকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “ফর্ম ভালো করে দেখে নিন। যদি কোনও তথ্য আপত্তিকর মনে হয়, তাহলে তা পূরণ করবেন না। প্রয়োজন হলে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন। আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি, কমিশনের উদ্দেশ্য সৎ বলে মনে হচ্ছে না।”