ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ জুন : নিরাপত্তাজনিত কারণে শিক্ষাঙ্গনে ফের নাড়াচাড়া পড়েছে। কলকাতার একটি কলেজ চত্বরে এক ছাত্রীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (Kasba Rape Case)। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন বর্তমান ছাত্র এবং বাকি দু’জন প্রাক্তন ছাত্র। ঘটনাটি সামনে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং কলেজ চত্বরে ফরেনসিক দলের যাওয়ার কথা রয়েছে নমুনা সংগ্রহের জন্য। ধৃতদের শুক্রবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
গত বুধবার কলকাতার এক কলেজ চত্বরে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে ফরেনসিক দল ইতিমধ্যেই কলেজে পৌঁছেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত এবং তাকেই এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং শুক্রবার ধরা পড়েছে আরও একজন।
ঘটনার জটিলতা বাড়ছে। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতা ছাত্রীকে কলেজে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ চত্বরে ওই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা ইতিমধ্যেই কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে—কলেজ প্রাঙ্গনের মতো নিরাপদ বলে বিবেচিত স্থানে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা কীভাবে ঘটল? নিরাপত্তারক্ষীরা সেই সময়ে কোথায় ছিলেন? তাঁদের ভূমিকাই বা কী ছিল? সেই সময় কলেজে আর কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না—তাও তদন্তের আওতায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন অভিযুক্তকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাঁদের শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে। তদন্তে অগ্রগতি আনতে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হবে। অপরদিকে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহে ফের ফরেনসিক দল সেখানে যাবে বলেও খবর।