Kasba Rape Case TMC : ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠল তৃণমূল, কসবার নির্যাতিতার পাশে থাকার আশ্বাস শশী পাঁজার
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ জুন : নিঃসংকোচে কলকাতার আইন কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসকদলের নেতানেত্রীরা নির্যাতিতার পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন (Kasba Rape Case TMC)। এক সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজা প্রশ্ন তুললেন, রাষ্ট্রপতি এখনও কেন অপরাজিতা বিলটিতে সই করেননি। এই পাশবিক ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক লাভ নেওয়ার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে একহাত নেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ব্রিজভূষণ বা তাপসী মালিকের ঘটনার মতোই এই ঘটনাকেও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে।
শশী পাঁজা এক আইন শিক্ষার্থীকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। দোষীদের ইতিমধ্যেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে, আমরা নির্যাতিতার পাশে আছি।” তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে আরও বলেন, “অপরাধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি চলতে পারে না। যারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে, তারাই বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিচ্ছে এবং সোশাল মিডিয়ায় অযথা কাটাছেঁড়া করছে। তাঁদের উদ্দেশে আমার বার্তা—‘অপরাজিতা বিল’ বিধানসভায় ১০ মাস আগেই সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত বিধায়করাই তা অনুমোদন দিয়েছেন। তাহলে এই বিল আটকে রয়েছে কেন? আগে সেই প্রশ্নের উত্তর দিন বিজেপি। রাস্তায় নাটক না করে বিলটি আইনে রূপ দিতে সাহায্য করুন। নারীর দেহ রাজনৈতিক হাতিয়ার নয়, তা সম্মানের।”
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে শাসকদল ‘অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল’ বিধানসভায় তোলে। নারী নিরাপত্তার মতো সংবেদনশীল বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায়, বিরোধী দল বিজেপিও এই বিলের বিরোধিতা করেনি। বিল অনুযায়ী ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মতো নারীবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত তদন্ত (২১ দিনের মধ্যে) ও চার্জশিট গঠন (৩০ দিনের মধ্যে) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সর্বনিম্ন শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে, রাষ্ট্রপতির সই না হওয়ায় এখনও এই বিল আইনে রূপ পায়নি।
কসবা কাণ্ডে সাংবাদিক বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “অভিযুক্ত কে বা কোন দলের তা মুখ্য নয়—এদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, যেন কোনও রকম দয়া না দেখানো হয়। এমন নৃশংসতার পর এসব অমানুষদের সমাজে ছেড়ে রাখা যায় না।” তিনি জানান, নির্যাতিতার পাশে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা। পাশাপাশি বিজেপিকে ব্রিজভূষণের ঘটনা এবং সিপিএমকে তাপসী মালিকের কথা মনে করিয়ে দেন কুণাল। এছাড়া, চাকরির বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক এবং জোর করে গর্ভপাতের মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের গ্রেফতারির দাবি তোলেন তিনি।