BARAK RAILSERVICE :রেল এবং সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বরাক
BARAK RAILSERVICE: রেল এবং সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বরাক। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুরও। ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় আটকে পড়েছে কয়েকশো পণ্যবাহী লরি।
পাহাড়লাইনে ধস, বন্ধ লামডিং-বদরপুর রেল যোগাযোগ
ডিমা হাসাওয়ে ভূস্খলন, বন্ধ ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কও
রেল এবং সড়কপথ একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বরাক উপত্যকা
অবশিষ্ট ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুরও
গত ৫ দিন থেকে বন্ধ ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক
লামডিঙের ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় আটকে পড়েছে কয়েকশো পণ্যবাহী লরি। ভয়াবহ সমস্যার মুখে পড়েছেন লরি চালকরা। পকেটের টাকা শেষ হয়ে আসছে। দুবেলা দুমুঠো ভাত খাবেন সেই পয়সাও নেই এখন আর। এমন করুণ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি লরি চালকরা।
কেউ ৫ দিন, কেউ ছদিন কেউ বা আটকে আছেন টানা সাতদিন ধরে।
রেল এবং সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সরাসরি তার প্রভাব পড়েছে লামডিঙের বাজারে। শাক-সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লামডিঙের বাজারে। উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা।
হাফলং, বরাক সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় যায় লামডিঙের সবজি। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় একদিকে যেমন সবজির উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না, ঠিক তেমনি নষ্টও হচ্ছে প্রচুর।
শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মন্ত্রী নন্দিতা গার্লোসা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে বলে জানান তিনি। রবিবারের মধ্যে এন এফ রেল ট্র্যাক চলাচলের যোগ্য হয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্থানীয় প্রশাসনের মদতে জাতীয় সড়কে আটকে পড়া লরি চালকদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন নন্দিতা।
সবমিলিয়ে পরিস্থিতি মোটেই অনুকূল নয়। রেলপথ খুলে গেলেও জাতীয় সড়ক কবে খুলবে এটা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না মন্ত্রীও। রাস্তায় আটকে পড়া চালকরা সবাই খাবার পাচ্ছেন কিনা তারও সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। ফলে এখনও ঘোর আশঙ্কার মধ্যেই বরাক তথা দক্ষিণ অসমের বাসিন্দারা।
লামডিং থেকে চন্দ্রজিত গোয়ালা এবং হাফলং থেকে মঙ্কু দাস, এনকেটিভি বাংলা।