Sukanta Majumder:১৪ ঘণ্টা পর জেল মুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী,”গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ” দাবি সুকান্তর

13

ডিজিটাল ডেস্ক ২৯জুনঃ গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে। গোটা রাজ্য ফের একবার দেখতে পেল নৃশংসতার ছবি। এই বর্বরচিত ছাপ গত বছরেই ঘটে যাওয়া আরজিকর হাসপাতালের ঘটনাকে উস্কে দিয়েছে আরও একবার। সেই আবহেই রাজনীতির কারবারিরা ময়দানে নামতে বেশি দেরি করেনি । প্রত্যেকটি দল তার সুবিধা হস্তগত করতে নিজের নিজের মতো করে রাজনীতি করতে ব্যস্ত। গণধর্ষণ-কাণ্ডে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে শনিবার দুপুরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে গ্রেফতারের পর তাঁরা স্পষ্ট জানান, পার্সোনাল বেল বন্ডে সই করে জামিন নেবেন না। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর রবিবার সকালে জামিন ছাড়াই লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপ থেকে ছাড়া পান সুকান্ত-সহ অন্যান্য নেতারা(Sukanta Majumder)।

এ দিন লালবাজার থেকে বেরোতেই সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়দের গলায় মালা পরিয়ে বরণ করে নেন বিজেপি কর্মীরা। সুকান্ত বলেন, ‘প্রতিবাদ করায় আমাদের যে ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ছাড়া আর কিছুই নয়। গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ আমাদের বলেছিল বেল বন্ডে সই করে দিতে, তা হলে ছেড়ে দেবে। আমরা তাতে রাজি হইনি। সারা রাত লালবাজারেই কাটিয়েছি।’কসবার ঘটনায় বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে শনিবার উত্তাল হইয়েছিল গড়িয়াহাট মোড়। সেখান থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হইয়েছিল। লালবাজারের ভিতরে যখন সুকান্তরা, বাইরে রাতভর অবস্থানে ছিলেন দলের কর্মীরা। তাঁরা জানান, এ ভাবেই এ বার থেকে জামিনের প্রস্তাব ফিরিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন ধারা শুরু করবে বিজেপি।

গত বুধবার সন্ধ্যায় কসবা আইন কলেজের গার্ড রুমে আটকে রেখে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার রাতে থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। এরপরই তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী মনোজিৎ মিশ্র এবং কলেজের দুই বর্তমান পড়ুয়া জইব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার করা হয় কলেজের এক নিরাপত্তা রক্ষীকেও।

সুকান্তর দাবি, যখন সরকার ও পুলিশ ঘুমোয়, তখন তো কাউকে না কাউকে জাগতেই হয়। সেই কাজই বিজেপি করেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। অথচ আরজি কর হোক বা কসবার ঘটনা, প্রতিবাদ করলে পুলিশ মুখ বন্ধ করতে গ্রেপ্তার করে।তিনি জানান, এ বার থেকে আর এই ধরনের ঘটনায় তাঁরা জামিন নেবেন না। বসে থাকবেন লকআপেই। নিঃশর্ত মুক্তি ছাড়া আর কোনও পথেই হাঁটবেন না বলে জানিয়ে দেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘এ বার থেকে জামিন প্রত্যাখ্যান আন্দোলন হবে।’