Kasba Case Update: ‘লাভ বাইট’! তত্ব থেকে জামিন অযোগ্য ধারা,অভিযুক্তরা পুলিশি হেফাজতে ৮ জুলাই পর্যন্ত

17

ডিজিটাল ডেস্ক ২জুনঃ কসবা ল’কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড বাদে বাকি তিন অভিযুক্তকে ৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। অন্যদিকে কলেজের সিকিউরিটি গার্ড পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালতে। এই গনধর্ষণকাণ্ডে মোট ৯ টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাঁর মধ্যে পাঁচটি জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সুত্রের খবর।

এদিন ভরা এজলাসে অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি,গণধর্ষণ হয়নি। তাঁর বক্তব্য, অভিযুক্তের ঘাড়ে একটি ‘লাভ বাইট’ পাওয়া গিয়েছে। এই তত্ত্বকে খাড়া করেই এ দিন অভিযুক্তের আইনজীবী গণধর্ষণের ঘটনাকে কার্যত নস্যাৎ করেছেন কোর্টে। আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে(Kasba Case Update)।পুলিশের তরফে চারজনেরই ১০ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল।

তবে কেন এই তত্ত্ব উল্লেখ করলেন কোর্টে? এর সাপেক্ষে কোনও যুক্তি মঙ্গলবার আদালতের সামনে নিয়ে আসেননি তিনি। আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেল ও বাকি যে অভিযুক্তরা রয়েছেন তাঁরা তদন্তে সাহায্য করছেন। এখনই অভিযুক্তের আইনজীবী পুরো বিষয়টি খলসা করতে নারাজ। তবে আজকের এই শুনানির পর একটাই প্রশ্ন উঠছে, কোথাও গিয়ে কি মূল অভিযুক্তের আইনজীবী প্রমাণ করতে চাইছেন যে গণধর্ষণ নয়, উভয়ের সম্মতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে?

অভিযুক্তের আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদ-মাধ্যমে বলেন,“খালি বলা হচ্ছে মেয়েটির শরীরে আঁচড়ের দাগ রয়েছে। কিন্তু বিপক্ষের উকিল কি এই কথাটা বলেছেন আমার মক্কেলের ঘাড়ে লাভ বাইট পাওয়া গিয়েছে? এটা বলা হয়নি। যদি রেপ হয় তাহলে কখনও লাভ বাইট পাওয়া যায় না।”

ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে ৯ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল সিট । নেতৃত্বে রয়েছেন দক্ষিণ শহরতলির অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপকুমার ঘোষাল। সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে তথ্য জোগাড়ের পাশাপাশি সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে সেদিন বিকেল ৪টের পর কলেজে ছিলেন এমন ১৭ পড়ুয়াকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে তাঁদের জেরাও করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিনের বিকেল ৪টের পর থেকে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। যার সঙ্গে নির্যাতিতার বয়ানের মিল রয়েছে।