ডিজিটাল ডেস্ক, ২ জুলাই : দশ বছর আগে চিৎপুরের একটি বহুতলে রহস্যজনকভাবে খুন হন এক বৃদ্ধ দম্পতি। অভিযোগ, যাঁকে সন্তানের স্নেহে বড় করে তুলেছিলেন ওই দম্পতি, সেই পরিচারক সঞ্জয় সেন ওরফে বাপ্পাই তাঁদের হত্যা করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানির পর অবশেষে শিয়ালদহ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে (Chitpur Murder Case Hanging)।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে চিৎপুরের এক বহুতলের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রাণগোবিন্দ দাস ও রেণুকা দাস নামের এক দম্পতির নিথর দেহ। তখন তাঁদের বয়স সত্তরের কোঠায়। তাঁদের একমাত্র মেয়ে আমেরিকায় বসবাস করতেন, ফলে কলকাতার বাড়িতে একাই থাকতেন এই বৃদ্ধ দম্পতি। সঙ্গী হিসেবে থাকতেন পূর্ণিমা নামে এক তরুণী, যাঁর মাধ্যমেই সঞ্জয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁদের। পরে পূর্ণিমার সঙ্গে সঞ্জয়ের বিবাহের ব্যবস্থাও করেছিলেন ওই দম্পতি।
সঞ্জয় তখন প্রায় পরিবারেরই একজন হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সেই বিশ্বাস ও ঘনিষ্ঠতাই কি হয়ে উঠল মরণফাঁদ? তদন্তে এমনই সন্দেহের ইঙ্গিত মিলেছিল। আর শিয়ালদহ আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে ফের উঠে এসেছে সেই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা।