Mumbai Female Teacher Raped Student : দেশের সেরা পাঁচের এক স্কুলের শিক্ষিকার কীর্তি! বছরখানেক ধরে ৫ তারা হোটেলে ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ!

13

ডিজিটাল ডেস্ক, ২ জুলাই : মুম্বইয়ের দাদর থানার পুলিশ এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে, যিনি এক স্কুলছাত্রকে প্রায় এক বছর ধরে যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে (Mumbai Female Teacher Raped Student)। মধ্য মুম্বইয়ের একটি স্বনামধন্য স্কুলে কর্মরত এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ছাত্রটিকে বিভিন্ন জায়গায়—পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে গিয়ে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করতেন। এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষিকা ছাত্রটিকে মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ খাইয়ে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইন ও জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দাদর থানা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে তখন, যখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর ছাত্রটি নিজের পরিবারকে পুরো বিষয়টি জানায়। জানা গেছে, শিক্ষিকার এক পরিচারক ছাত্রটির বাড়িতে এসে তাঁকে শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন। তখনই ছেলেটি সাহস সঞ্চয় করে তার বাবা-মাকে সব খুলে জানায়।

জানা গেছে, শিক্ষিকার একাধিক সন্তান রয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, শিক্ষিকা “মানসিকভাবে সহায়তার” নাম করে ছাত্রটিকে একাধিকবার বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে যেতেন, যার মধ্যে পাঁচতারা হোটেলও ছিল। সেখানে তিনি কখনও তাকে অ্যালকোহল সেবনে বাধ্য করতেন, কখনও আবার উদ্বেগ কমানোর ওষুধ খাওয়াতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এই কর্মকাণ্ডের সময় ছাত্রটির বয়স ছিল নাবালক, বর্তমানে সে ১৭ বছর বয়সী।
তদন্তে জানা গেছে, ছাত্রটির সঙ্গে শিক্ষিকার প্রথম পরিচয় হয় স্কুলের এক্সট্রা কারিকুলার ডান্স ক্লাসে, যা শিক্ষিকা নিজেই পরিচালনা করতেন। ধীরে ধীরে তিনি ছাত্রটির আস্থা অর্জন করেন এবং তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, শিক্ষিকা নির্ধারিত স্থান থেকে ছেলেটিকে তাঁর নিজস্ব সেডান গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতেন। পুলিশ ইতিমধ্যে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে।

এ বছরের শুরুতে ছাত্রটি নিজের খুব কাছের এক বান্ধবীর সঙ্গে বিষয়টি ভাগ করে নেয়। সেই বান্ধবী তাকে স্কুলের কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেয়। স্কুল কাউন্সেলরের সঙ্গে আলোচনার পরই ঘটনাটি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, এবং তারাই বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতিত ছাত্রটি জানিয়েছে, সে প্রথমে মাসের পর মাস চুপ করে ছিল এই আশায় যে শিক্ষিকা হয়তো আচরণে পরিবর্তন আনবেন। কিন্তু পরীক্ষার চাপ ও মানসিক বিভ্রান্তির কারণে ঘটনাটি কাউকে জানাতে পারেনি। গত সপ্তাহে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ও তাঁর এক বান্ধবীকেও গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন তদন্তের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত শিক্ষিকার অতীতেও অন্য ছাত্রদের সঙ্গে কোনো সন্দেহজনক সম্পর্ক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে শিক্ষিকার মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের ডিজিটাল ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, নামিদামি ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করেছে এবং তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।