ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুলাই : পুণের একটি অভিজাত আবাসনে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে (Pune Rape)। অভিযোগ, একটি ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ নথি ডেলিভারি দিতে আসা এক ব্যক্তি সুযোগ নিয়ে ২২ বছর বয়সি এক তরুণীর উপর যৌন নির্যাতন চালায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী ওটিপি যাচাই করতে ভিতরে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর পিছু পিছু ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর ঘটনার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর অভিযুক্ত তরুণীর সঙ্গে একটি ছবি তোলে এবং সেখানে একটি বার্তা দিয়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, অভিযুক্ত ব্যক্তি তরুণীকে অচেতন করতে কোনও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেছিল, কারণ তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার পর অভিযুক্ত তরুণীর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে একটি ছবি তোলে এবং ফোনেই একটি ভয় পাইয়ে দেওয়া বার্তা লেখে—“আমি আবার আসব।” পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে এবং অপরাধীর পরিচয় ও অবস্থান শনাক্তে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ ইতিমধ্যেই দশটি দল গঠন করেছে—যার মধ্যে পাঁচটি দল ক্রাইম ব্রাঞ্চের এবং বাকি পাঁচটি বিভিন্ন জোনাল ইউনিটের অন্তর্গত। পুণের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজকুমার শিন্ডে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন এবং অপরাধমূলক হুমকির ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ফরেনসিক বিভাগ খতিয়ে দেখছে, আক্রান্ত তরুণীর মুখে কোনও রাসায়নিক বা স্প্রে প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না। এ ছাড়া, তদন্তে উদ্ধার হওয়া সেলফি নিয়ে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ চলছে—যার মাধ্যমে অপরাধের নতুন তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর অভিজাত আবাসনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে এক বহিরাগত ব্যক্তি নিরাপত্তার কোনও তদারকি ছাড়াই ওই এলাকায় প্রবেশ করল—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অভিযুক্ত এখনও পলাতক। সিসিটিভি ফুটেজ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। শহরজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান, এবং পুলিশ আশাবাদী দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। আক্রান্ত তরুণী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁকে সবরকম আইনি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।