Kasba Case Update:ওইদিন কসবা “ল” কলেজে কি ঘটেছিল ?কাঁকভোরে ঘটনার পুনর্নির্মাণে পুলিশ

20

ডিজিটাল ডেস্ক ৪ঠা জুলাইঃ কসবা কলেজে ঘটনার পুনর্নির্মাণ শুরু হল। ভোর ৪টে নাগাদ কড়া পাহারায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে পুনর্নির্মাণের কাজ। গার্ডরুম ও ইউনিয়ন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মনোজিৎ-সহ আরও দুই অভিযুক্তকে। ওইদিন যে নিরাপত্তারক্ষী কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন তিনিও। ২৫ জুন কোথায় কীভাবে চলেছে যৌন নির্যাতন তা জানতেই এই পদক্ষেপ পুলিশের(Kasba Case Update)।

প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগেই নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছিল। এবার অভিযোগকারিণীর দেওয়া তথ্য ও ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ। দেখা হচ্ছে সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজও। এদিকে নিরাপত্তারক্ষীকে আজই আদালতে পেশ করা হবে।

৮টা ২১ নাগাদ শেষ হয় পুনর্নির্মাণ। তারপর আবারও পুলিশি ঘেরাটোপে অভিযুক্তদের নিয়ে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা। রাজ্যজুড়ে এই ঘটনায় ছাত্র রাজনীতি, কলেজ প্রশাসন এবং ক্যাম্পাস নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর মধ্যেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কসবা আইনি কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধৃতদের ছবি প্রকাশ করা যাবে।

গত ২৫ জুন কসবা আইন কলেজ চত্বরে আইনের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। অভিযোগ,কলেজের মূল ফটক আটকে, সিকিউরিটি গার্ডের ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে হকি স্টিকে মারধর করা হয়। পরে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয়। ২৬ জুন কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ২৭ জুন গ্রেফতার করা হয় বছর ৩১ এর মনোজিৎ মিশ্র , জইব আহমেদ বয়স ১৯ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০)-কে। মনোজিৎ ওই কলেজের প্রাক্তনী এবং বর্তমানে সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে যুক্ত ছিলেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, ঘটনার সময়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় সব কিছু দেখেও কোনও পদক্ষেপ করেননি। পরে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।