Narendra Modi Bihar Vote : ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহার কি বেটি’ সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর! উস্কে দিচ্ছেন ভোটের বার্তা?
ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুলাই : চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আবহেই বিদেশ সফরে গিয়েও ‘বিহার-যোগ’কে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি — এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোয় সফরে পৌঁছেই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান জানিয়ে মোদি তাঁকে ‘বিহার কি বেটি’ বলে সম্বোধন করেন। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ত্রিনিদাদ-টোব্যাগোর সঙ্গে ভারতের, বিশেষ করে বিহারের, এক গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে (Narendra Modi Bihar Vote)।
বৃহস্পতিবার ঘানা সফর শেষ করে ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পোর্ট অফ স্পেনের বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর, সঙ্গে ছিলেন সেদেশের একাধিক ক্যাবিনেট সদস্য। পরবর্তীতে রাজধানী পোর্ট অফ স্পেনে প্রায় ৪ হাজার প্রবাসী ভারতীয়ের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, “কমলাজির পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সারের বাসিন্দা ছিলেন। তাই তাঁকে ‘বিহার কি বেটি’ বলা হয়।” মোদি আরও জানান, কমলাজি নিজেও বিহারে গিয়েছেন এবং সেদেশে আজ যাঁরা উপস্থিত, তাঁদের অনেকেরই শিকড় যুক্ত রয়েছে বিহারের সঙ্গে।
পোর্ট অফ স্পেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে আয়োজন করা হয়েছিল ভোজপুরি চৌতালের—ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়ায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল সমগ্র পরিবেশ। সেই হৃদয়স্পর্শী মুহূর্তের ভিডিও স্বয়ং মোদি ভাগ করে নেন সোশাল মিডিয়ায়। মোদির বক্তব্যে উঠে আসে ভারত ও ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর গভীর সাংস্কৃতিক বন্ধন, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গ। তিনি স্মরণ করান, অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণের সময়ে ত্রিনিদাদ থেকে পূর্ণ শ্রদ্ধা ও ভক্তিসহকারে সরযূ নদীর জল পাঠানো হয়েছিল ভারতে। সেই আবেগ ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবেই এবার রামমন্দিরের একটি রেপ্লিকা এবং সরযূর জল উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী—যেন আত্মিক বন্ধনের প্রতিফলন ঘটে দুই দেশের মধ্যে।
আগামী কয়েকদিনে একাধিক দেশের সফরে বের হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বহুজাতিক সফরের সূচনা হয়েছে ঘানা থেকে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তিনি ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর উদ্দেশে যাত্রা করেন, যেখানে তাঁর একাধিক কর্মসূচি নির্ধারিত রয়েছে। ত্রিনিদাদ সফরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার কথা জানিয়েছেন মোদি নিজে। এরপর শনিবার তিনি পৌঁছাবেন আর্জেন্টিনায়, সেখান থেকে পাড়ি দেবেন ব্রাজিলে, যেখানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ব্রিকস (BRICS) সম্মেলন। সফরের অন্তিম পর্বে তিনি নামিবিয়ায় যাবেন, যা এই বহুস্তরীয় কূটনৈতিক যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।