Pakistan Baloch Attack : ‘অপারেশন বাম’-এ নাজেহাল পাকিস্তান! ১৭টি জায়গায় বালোচ বিদ্রোহীদের আক্রমণ!

16

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ জুলাই : দীর্ঘদিন ধরেই স্বাধীনতার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া বালোচ বিদ্রোহীরা এবার পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় হামলায় নেমেছে (Pakistan Baloch Attack)। সূত্রের খবর, বালোচ লিবারেশন ফ্রন্ট গোটা বালোচিস্তানজুড়ে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়েছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বাম’। তবে এই হামলায় ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান সরকার।

এএনআই সূত্রে জানা গেছে, একযোগে বালোচিস্তানের চারটি জেলায় অন্তত ১৭টি হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মূলত সরকারি ভবন ও সম্পত্তিকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। বালোচ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) জানিয়েছে, তারা সামরিক ঘাঁটি, পুলিশ চৌকি, প্রশাসনিক ভবন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীদের দাবি, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর যতটা সম্ভব চাপ তৈরি করা।

তবে এই হামলায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বালোচিস্তানজুড়ে অতিরিক্ত সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করছে পাকিস্তান সরকার।

অসমর্থিত স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেছ এবং পাঞ্জগুর অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুরবাটে গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে—বালোচিস্তানে একটি বা একাধিক বাস থামিয়ে যাত্রীদের অপহরণ করে পরে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, বেশ কয়েকটি বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে অপহরণ করা হয় এবং পরে পার্বত্য এলাকা থেকে তাঁদের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।

যদিও এখনও পর্যন্ত এই নারকীয় ঘটনার দায় কোনো সংগঠন স্বীকার করেনি, তবে অতীতে এমন হামলার সঙ্গে বালোচ বিদ্রোহীদের নাম জড়িয়েছে বহুবার। চলমান ‘অপারেশন বাম’-এর আবহে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনেও বালোচদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে প্রশাসন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বালোচরা প্রায় দুই দশক ধরে স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছিল বালোচ লিবারেশন আর্মি। কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী যাত্রীবাহী ওই ট্রেনের দখল নিয়ে নেয় বিদ্রোহীরা। ওই হামলায় প্রাণ হারান ২৮ জন পাক সেনা ও ২৬ জন পণবন্দি।