IIM Joka Rape Update : আইআইএম জোকা কাণ্ডে নতুন মোড়! মেডিক্যাল পরীক্ষাতে নারাজ ‘নির্যাতিতা’

17

ডিজিটাল ডেস্ক, ১২ জুলাই : আইআইএম জোকার হোস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে প্রতিদিনই নতুন নতুন মোড় আসছে সামনে। এবার প্রশ্ন উঠেছে, অভিযোগকারিণী তরুণীর ভূমিকা নিয়ে। পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই তরুণী নিজেই তদন্তে সহযোগিতা করতে অনিচুক, যা তদন্ত প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলছে। শুক্রবার রাতে অভিযোগ ওঠে, আইআইএম জোকার ছাত্রাবাসে এক বহিরাগত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই একজন ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই অসঙ্গতি ও প্রশ্ন জাগানো তথ্য উঠে আসছে, ফলে গোটা ঘটনাকে ঘিরে জটিলতা ক্রমেই বাড়ছে এবং তদন্তের চূড়ান্ত সত্য উদঘাটনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে পুলিশ (IIM Joka Rape Update)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী তরুণী নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি ‘কাউন্সেলিং’-এর উদ্দেশ্যে আইআইএম জোকার হোস্টেলে গিয়েছিলেন। তাঁকে সেখানে আমন্ত্রণ জানান কর্নাটকের এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু সেখানেই ঘটে অঘটন, যা পরবর্তীতে ধর্ষণের অভিযোগে রূপ নেয়। এই বক্তব্য তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ মোড় তৈরি করেছে, তবে তরুণী তদন্তে সহযোগিতা না করায় ঘটনার প্রকৃতি ও সত্যতা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠে আসছে।

এক তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, এক ছাত্র তাঁকে কোনও রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই হস্টেলের ভিতরে নিয়ে যান। সেখানে পিৎজা ও ঠান্ডা পানীয় খাওয়ানো হয়। অভিযোগ, ঠান্ডা পানীয়তে কোনও অচেতনকারী দ্রব্য মেশানো ছিল, যার ফলে তিনি সংজ্ঞা হারান। জ্ঞান ফিরে আসার পর, তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন। ঘটনার পর রাতেই তিনি ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, তাঁকে হরিদেবপুর থানায় পাঠানো হয়, কারণ ঘটনাটি সেই থানার অন্তর্গত। পুলিশ ঘটনার তদন্তে তৎপরতা দেখায় এবং রাতেই অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে।

পরবর্তী শনিবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ, যেখানে বিচারক তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তবে একই দিন দুপুরে অভিযোগকারিণীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তিনি পরীক্ষায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি ধর্ষণের সময় পরিধান করা পোশাকও তদন্তের জন্য জমা দিতে অরাজি ছিলেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার সময় পুলিশ পাসওয়ার্ড চাইলে, তাও তিনি দিতে অস্বীকার করেন। পুলিশের কিছু সদস্যের মতে, এইসব কর্মকাণ্ড তদন্তে জটিলতা তৈরি করছে। এই অবস্থায় সামনে আসেন তরুণীর বাবা। তিনি জানান, তাঁর মেয়ের সঙ্গে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর দাবি, পুলিশের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগপত্র মেয়ের নিজের লেখা নয়—জোর করে তাঁর মেয়েকে দিয়ে তাতে সই করানো হয়েছে।

তার দাবি, আইআইএমের মতো একটি কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এই ‘ষড়যন্ত্র’ রচিত হয়েছে। তদন্তের অজুহাতে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে আঘাত করার চেষ্টা চলছে বলে মনে করেন তিনি। তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে অভিযোগকারিণীর অসহযোগিতা এবং তাঁর বাবার পাল্টা বক্তব্য তদন্তকে জটিল করে তুলেছে। ফলে, এই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তদন্তকারীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে—কতদূর এগোবে এই প্রক্রিয়া, তা এখন অনিশ্চিত।