21st July Arrengement:একাধিক ঘেরাটোপে “২১”,খিচুড়ি-ডিমভাত, স্বাস্থ্যশিবির স্টেশনে

10

ডিজিটাল ডেস্ক ২১শে জুলাইঃ ২৬-এ ভোটের আগের শেষ ২১ জুলাই আজ। প্রস্তুতি প্রায় শেষ। গত দুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এসেছেন কলকাতায়। তাঁদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজও ভোর থেকেও বিভিন্ন ট্রেনে কলকাতামুখী হয়েছেন বহু সমর্থক। হাওড়া স্টেশনের পাশে কর্মীদের রিসিভ করার জন্য হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গেট এবং মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও, বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে(21st July Arrengement)।

কর্মীদের সরাসরি হাওড়া স্টেশন থেকে বাসে করে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, সল্টলেক স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র–সহ বিভিন্ন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও, সালকিয়ার শ্রীরাম বাটিকা, শ্যাম গার্ডেন–সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রাতে থাকা–খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের পাশে কর্মীদের রিসিভ করার জন্য হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গেট এবং মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও, বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

রবিবার সকালে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় শ্যাম গার্ডেনে আসেন। সেখানে তিনি রান্নার কাজ সরজমিনে দেখেন। এ বারের মেনু হয়েছে ভাত এবং ডিম–আলুর তরকারি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রায় ২০ হাজার লোকের থাকা–খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশন থেকে সরাসরি বাসে করে কর্মীদের শ্যাম গার্ডেনে নিয়ে আসা হবে। রাতে থাকার পরে সোমবার সকালে খিচুড়ি খাইয়ে তাঁদের ধর্মতলার সভায় নিয়ে যাওয়া হবে।

হাওড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে কোনও তৃণমূল কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁর চিকিৎসার জন্য হাওড়া স্টেশনের ভিতরে এবং বাইরে স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। পেশায় চিকিৎসক এবং রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা দুপুরে হাওড়া স্টেশনের ভিতরে স্বাস্থ্যশিবির পরিদর্শন করেন। ওই শিবিরের জন্য প্রচুর ওষুধ,তুলো, ব্যান্ডেজ এবং ডেটল নিয়ে আসেন। এই স্বাস্থ্যশিবির প্রসঙ্গে শশী পাঁজা বলেন, ‘শুধু হাওড়া স্টেশন নয়, বিভিন্ন জেলাতে একই ধরনের স্বাস্থ্যশিবির করা হয়েছে। যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, দ্রুত চিকিৎসা করা যায়।

হাওড়া স্টেশন চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকী,হাওড়া স্টেশনের উল্টো দিকে লঞ্চঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সুত্রের খবর । পুলিশ সূত্রে খবর,সোমবার সকাল ছ’টা থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত হাওড়া স্টেশন লাগোয়া তিনটি ঘাটে প্রায় ২৫০ জন পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে বলে।

এ ছাড়াও অতিরিক্ত সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি,পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম বাড়ানো হয়েছে। লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়েগুলিতে গার্ডরেল দেওয়া হবে এবং পল্টুনগুলিতে পর্যাপ্ত জলসাথী এবং পুলিশকর্মী থাকবেন বলে পুলিকশ সূত্রের খবর । হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান বাপি মান্না বলেন, ‘মোট ১১টি লঞ্চ চালানো হবে। আরও তিনটি লঞ্চ স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা হবে। যাতে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের কোনও অসুবিধা না হয়,তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এছাড়াও হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকায় একটি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের নানা ধরনের ওঠাপড়া। উদ্যোক্তাদের আশা, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে যে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক হাওড়া স্টেশনে আসছেন ,তাঁরা একবার অন্তত এই প্রদর্শনীস্থল ঘুরে যাবেন বলে মনে করছেন তারা ।

হাওড়া জেলা সদর আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরবিন্দ দাস বলেন,‘১০০–র বেশি ছবি প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। আমাদের আশা, নেত্রীর জীবনের লড়াই সমস্ত তৃণমূল কর্মীকে অনুপ্রাণিত করবে।’