Bangladesh Plane Crash:কাল হল’মেড ইন চায়না’ফাইটার জেট ? শিশু মৃত্যু বৃদ্ধি বাংলাদেশে

12

ডিজিটাল ডেস্ক ২২শে জুলাইঃ ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭(Bangladesh Plane Crash)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার শিকারদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ১২ বছরের নিচে। তাদের বেশিরভাগেরই শরীরের বড় একটি অংশ দগ্ধ হয়েছে।

জানা যাচ্ছে মৃতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু,যাদের বয়স ১২ বছরের নিচে। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৮ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানটি ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি একে খন্দকার থেকে ওড়ার পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনের ওপর ভেঙে পড়ে।

এর আগে গত এক দশকে এফ-৭ যুদ্ধবিমানের একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবারের দুর্ঘটনার পর আবারও আলোচনায় এই বিমানের কার্যক্ষমতা, যান্ত্রিক ত্রুটি ও দুর্ঘটনার বিষয়টি। চিনের তৈরি এফ-৭ যুদ্ধবিমান এক সময় অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য ছিল তুলনামূলক কম খরচে আকাশ প্রতিরক্ষার একটি সমাধান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ‘সাশ্রয়ী’ সমাধান আজ পরিণত হয়েছে বিপজ্জনক বোঝায়। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ইরানসহ আরও কয়েকটি দেশে ব্যবহার হওয়া এই বিমানটি এখন প্রায়ই শিরোনামে আসে—বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কারণে।

এফ-৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করে চিনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (সিএসি)। অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য চিনে এটি জে-৭ নামে পরিচিত। তবে রফতানির সময় এর নামকরণ হয় এফ-৭। জে-৭ মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের চিনা সংস্করণ। ১৯৬০-এর দশকে সোভিয়েত প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বিমানটি নির্মিত হয়। তবে চিনকে অসম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করায় দেশটি রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করে। ১ ১৯৮০ ও ’৯০ দশকে বিমানটির একাধিক উন্নত সংস্করণ তৈরি করে চিন। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিসর, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, তানজানিয়াসহ অনেক দেশেই এটি রফতানি করা হয়। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মোট ৩৬টি এফ-৭ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই এফ-৭ বিজিআই ভ্যারিয়েন্ট। তবে এফ-৭ এমবি ও এফটি-৭ ভ্যারিয়েন্টও রয়েছে। তবে মোট ফাইটার ভ্যারিয়েন্ট ৩৬টি।