Dilip Ghosh: “দুর্গা-কালী” নাম জপের মাঝেই “জয় শ্রীরাম”, স্বমেজাজে দিলীপ !

59

ডিজিটাল ডেস্ক ২৩শে জুলাইঃ বিতর্কের আরেক নাম দিলীপ ঘোষ ?এদিন যখন গোটা বঙ্গ বিজেপি মজেছে কালী-দুর্গা নামে। বাংলার মানুষের প্লাস বুঝতে বার বারই পিছিয়ে থেকেছে বঙ্গ বিজেপি। তখন ঠিক সেই আবহে দাড়িয়েই দিলীপ ঘোষ আবারও বিতর্কের শিরনামে। একুশে জুলাই খড়গপুরের সভায় পুরোনো মেজাজে ধরা দেন তিনি। এবার দুর্গা-কালী নাম নিয়ে বিতর্কে মুখ খুললেন দিলীপ। তাঁর সাফ কথা, “আমরা জয় শ্রীরাম বলব। আবার জয় মা কালী, জয় মা দুর্গাও বলব। দিলীপের মুখে এর আগেও সৌজন্য এর তত্ত্ব শুনেছে বঙ্গ। জগণ্ণাথ ধাম উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে স্বস্ত্রিক দিলীপ ঘোষ সাক্ষাত ঘিরে রাজনৈতিক তোলপাড় কম হয়নি। সে সময় দিলীপের নিজের দলই তাঁর বিরুদ্ধে চড়া সুরও চড়িয়েছিল(Dilip Ghosh) ।

সম্প্রতি মোদি বঙ্গসফরে এসে একবারও রামনাম করেননি। বরং দুর্গা-কালীকে স্মরণ করে দুর্গাপুরের সভায় বক্তব্য শুরু করেছিলেন তিনি। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও দুর্গা-কালীকেই স্মরণ করছেন। তা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পালটা দিলেন দিলীপ। সোশাল মিডিয়া পোস্টে সাফ লিখলেন, “আমরা জয় শ্রীরাম বলব। আবার জয় মা কালী, জয় মা দুর্গাও বলব।”

বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপিতে কোণঠাসা হয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। যার ফলে তাঁর তৃণমূলে যোগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর একুশে জুলাই খড়গপুরের সভায় পুরোনো মেজাজে ধরা দেন তিনি। তাঁর দাবি,বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। যদিও এভাবে লাভ হবে না বলেও তিনি দাবি করেছেন। কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, “হতাশ হবেন না। পার্টির উপর বিশ্বাস, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস আর নিজের আত্মবিশ্বাসই আপনার আগামিদিনের মূল চালিকাশক্তি।” এখন প্রশ্ন হল কে কাদের অস্বস্তির কারণ ? কি বলতে চাইলেন ঘোষবাবু ?

উল্লেখ্য, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দুর্গা-কালী স্মরণ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, তিনি বলেন, “আগে জয় শ্রীরাম বলত, এখন বলছে জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী। ছাব্বিশের পর জয় বাংলাও বলিয়ে ছাড়ব।”