Suvendu On Police Helpline : পুলিশের হেল্পলাইনের পাল্টা শুভেন্দু, রাজ্য পুলিশ হেনস্থা করলে কী করবেন? বাতলে দিলেন শুভেন্দু
ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ জুলাই : পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যে রাজ্য পুলিশের নতুন হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন চালুর ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। পুলিশের এই উদ্যোগকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে কটাক্ষ করে পাল্টা ইমেল আইডি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য পুলিশ আসলে রাজনৈতিক স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছে (Suvendu On Police Helpline)।
এদিকে, রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিনরাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রতারণা, বকেয়া মজুরি না পাওয়া কিংবা নিগ্রহের শিকার হলে বা তাঁদের পরিবার সমস্যায় পড়লে, তাদের সাহায্য করতেই চালু করা হয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বর— ৯১৪৭৭২৭৬৬৬। এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নাম, ঠিকানা ও সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ পাঠালে, প্রয়োজনে রাজ্য পুলিশ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেবে।
তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই হেল্পলাইন আসলে সাধারণ মানুষের সহায়তা নয়, বরং বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। তাঁর কথায়, “ভূ-ভারতের কোথাও হিন্দু বাঙালি বা হিন্দু শরণার্থীরা কোনও সমস্যার মুখে পড়ছেন না। উলটে পশ্চিমবঙ্গেই হিন্দু বাঙালিরা পুলিশি হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও লেখেন, “যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পুলিশি হেনস্থার শিকার হচ্ছেন, তাঁরা সরাসরি আমাকে ইমেল করতে পারেন। আমি তাঁদের পাশে থাকব।” সেই সঙ্গে তিনি একটি ইমেল আইডিও প্রকাশ করেন— adhikarisuvenduwb1@gmail.com। তিনি আরও আহ্বান জানান, “পশ্চিমবঙ্গের কোনও সচেতন নাগরিক যদি রোহিঙ্গা বা অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি মুসলমানদের অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য জানেন, তাহলে সেটিও ইমেলের মাধ্যমে আমাকে জানাতে অনুরোধ করছি। আমি নিশ্চিত করব, সেই তথ্য যথাযথ জায়গায় পৌঁছে যায়।”
এরপর রাজ্য পুলিশের এক্স (X) হ্যান্ডলে প্রকাশিত হেল্পলাইন নম্বরও তুলে ধরে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আর মাত্র কিছু মাস বাকি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের। তার আগেই ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিক হেনস্থা নিয়ে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক চরমে উঠেছে। তবে এবার প্রথমবার, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই বাঙালিদের উপর হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী, যা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।