Narendra Modi On Operation Sindoor At Parliament: পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর সিঁদুর বার্তা, ‘ভারতের পক্ষে বলতে এসেছি’ বলে বিরোধীদের কটাক্ষ!

79

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৯ জুলাই : মঙ্গলবার বিকেলে লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। স্পষ্টভাবে বললেন, “আমি আজ ভারতের পক্ষে কথা বলতে উঠে দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের শক্তি ও সাফল্য দেখতে পায় না, তাদের সামনে আমি আয়না তুলে ধরতে এসেছি।” পাশাপাশি, পহেলগাঁও হামলার পর তাঁর পদক্ষেপ নিয়েও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “হামলার পরপরই আমি সেনাবাহিনীকে জানিয়েছিলাম—পাকিস্তানকে কীভাবে জবাব দিতে হবে, সেটা ওরাই ঠিক করুক। কখন, কোথায়, কীভাবে পাল্টা আঘাত হবে, সেই সিদ্ধান্ত সেনার হাতেই ছিল।” তিনি আরও দাবি করেন, “৬ ও ৭ তারিখ ভারত জবাব দিয়েছিল, আর পাকিস্তান কিছুই করতে পারেনি।” লোকসভায় এভাবেই দৃঢ় কণ্ঠে নিজের অবস্থান তুলে ধরলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে সরাসরি খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং এখনও কয়েকটি এয়ারবেস আইসিইউর মতো অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে। যদি পাকিস্তান আবার কোনো হামলার পরিকল্পনা করে, তাহলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে (Narendra Modi On Operation Sindoor At Parliament)।

ভারতীয় সেনার ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “সেনা ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে। যে পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান চালানো হয়েছিল, তা নিখুঁতভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এমন সব জায়গায় হামলা হয়েছে, যেখানে আগে কেউ প্রবেশের কল্পনাও করেনি।” তিনি আরও বলেন, “জঙ্গি হামলা আগেও হয়েছে। তখন জঙ্গিরা নিশ্চিন্তে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যেত, কারণ তারা জানত—ভারত কোনও পাল্টা জবাব দেবে না। বরং পরবর্তী হামলার ছক কষত। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। এখন জঙ্গিরা ঠিক মতো ঘুমোতে পর্যন্ত পারে না। কারণ তারা জানে, ভারত আসবে, জবাব দিয়ে যাবে।”

অভিশপ্ত ২২ এপ্রিল তিনি বিদেশে ছিলেন বলে জানালেন মোদি। বলেন, “২২ এপ্রিল আমি বিদেশে ছিলাম। খবর পেতেই ফিরে এসেছি। আমি একটি সভা ডেকেছিলাম, যেখানে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে সন্ত্রাসবাদের কঠোর জবাব দেওয়া হবে। এটি আমাদের জাতীয় সংকল্প। সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলাম বদলা নিতে এবং জানিয়ে দিয়েছিলাম কখন, কোথায়, কীভাবে জবাব দিতে হবে তা নির্ধারণ করার জন্য।”

অপারেশন সিঁদুরকে আত্মনির্ভর ভারতের এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “জঙ্গি হামলার পর জঙ্গিদের প্রভুরা রাতের ঘুম হারিয়েছেন, কারণ তারা জানত ভারত এসে পাল্টা আঘাত করবে। এটাই ভারতের নতুন নিয়মনীতি। মেড ইন ইন্ডিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাকিস্তানকে চূর্ণবিচূর্ণ করেছে। পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি এখন আইসিইউর মতো অবস্থায়। সিঁদুর থেকে সিন্ধু অবধি আমরা সঠিক জবাব দিয়েছি।”

সেনার অভিযানের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর দিয়ে বলেন, আত্মনির্ভর ভারতের শক্তি আজ বিশ্ব চিনেছে। তাঁর দাবি, “পৃথিবীর মাত্র তিনটি দেশ ছাড়া কেউই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযানে বাধা দেয়নি। আর পাকিস্তানও বুঝে গেছে, ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র কতটা কার্যকর।” এই প্রেক্ষিতেই মোদীর স্পষ্ট বক্তব্য, “ভারত কী করবে, তার লক্ষ্য স্পষ্ট ছিল—এবং ঠিক সেই পথেই এগোনো হয়েছে।”

সংসদে বক্তৃতার সময় পাকিস্তানকেও কড়া বার্তা দেন তিনি। বলেন, “যদি ভারত আক্রমণের শিকার হয়, তবে আমরা জবাব দেব নিজের নিয়মে, নিজের শর্তে এবং নিজের সময়ে। পরমাণু অস্ত্র দেখিয়ে ভারতকে ভয় দেখানো যাবে না। ভারত কখনও মাথা নত করে না, আর করবে না।”