ডিজিটাল ডেস্ক ৩০শে জুলাইঃ খানা খন্দে ভরা রাস্তা। হাঁটু সমান জল জমে রয়েছে। বেহাল রাস্তার কারণে বাঁকে করে দোলনাতে চাপিয়ে রোগীকে নিয়ে যেতে হল হাসপাতালে। এই ছবি ধরা পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার গোবিন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মালেকানা ঘুমটি এলাকায়। এই ঘটনার পর রাস্তা(Bad Road Condition) সারাইয়ের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। যদিও বেহাল রাস্তার জন্য পূর্বতন বাম সরকারকে দায়ী করলেন হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রচুর মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে খুব সমস্যা হয়। মঙ্গলবার তেমনই সমস্যায় পড়েন এক রোগীর পরিবার। শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য এক মহিলাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন পরিজনরা। শেষপর্যন্ত বাঁকে করে দোলনাতে চাপিয়ে দু’জনকে কোনওরকমে তাঁকে রাস্তা পার করান। ওই মহিলাকে প্রথমে যোগেশগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর এলাকার মানুষ রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, একাধিকবার ব্লক প্রশাসনে ও বিধায়ককে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। রোগীর আত্মীয় সিরাজুল গাজি বলেন, “বিধায়ক রাস্তার অবস্থা জানেন। উনি যখন গ্রামের প্রধান ছিলেন, তখনই রাস্তা সারাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।” কিন্তু, রাস্তা সারাই এখনও হয়নি বলে সরব হন বিক্ষোভকারীরা।
১৪ বছর আগে বাংলায় ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তবে এই রাস্তার বেহাল দশার জন্য পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারকে দুষলেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। তিনি বলেন, “রাস্তার কাজ হচ্ছে। বামফ্রন্ট সরকার রাস্তাগুলির যে হাল করে রেখে দিয়েছে, সেই রাস্তা সংস্কারের জন্য সময় প্রয়োজন। প্রত্যেকদিন একটা করে রাস্তা হচ্ছে। সুতরাং যে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে মানুষ, সেই রাস্তারও কাজ হচ্ছে।”
তবে এই নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দেগে রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা কাশেম আলি বলেন, “এ কোন বাংলা দেখছি। আজও রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য মানুষকে বাঁকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বিজেপি সরকার চাই।”
গত কিছুদিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তার বেহাল দশার ছবি সামনে এসেছে। কোথাও খাটিয়ায় রোগীকে নিয়ে দেড় কিমি হেঁটে বাড়ি পৌঁছতে হয়েছে। কোথাও অ্যাম্বুল্যান্স বাড়ির কাছে আসতে না পারায় কিশোরীকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা দোলনায় চাপিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে পরিজনদের।