Rantac-Zintac Medicine: র‍্যানট্যাক, জিনট্যাকে ক্যান্সার ? আশঙ্কার মেঘ বাঙ্গালি মনে !

72

ডিজিটাল ডেস্ক ২রা অগাস্টঃ গ্যাস-অম্বল, পেটের সমস্যা ভারতীয়দের বাড়িতে বাড়িতে। বাঙালিদের ক্ষেত্রে তা আরও অনেক বেশি। সামান্য গ্যাস-অম্বলেও মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাওয়া অভ্যাস। বিশেষ করে জিনট্যাক, র‌্যানট্যাক, অ্যাসিলকের মতো ওষুধ মাস-কাবারির বাজারের সঙ্গেই বাড়িতে আসে। এবার ইতি পড়তে চলেছে এই অভ্যাসে। এই সল্ট ব়্যান্টিডাইন বিক্রি করা হয়ে থাকে অ্যাসিলক, জিনট্যাক এসব নামে। বছরের পর বছর ধরে বাজারে বহুল প্রচলিত হল এই সব ওষুধ। কিনতে পাওয়া যায় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই। সামান্য বদহজম বা অ্যাসিডিটি হলেই মানুষ চোখ বন্ধ করে ভরসা করতেন এই সব ওষুধের উপর। বলা ভাল এই সব ওষুধই ছিল সমস্যার সমাধান। অনেকেই রোজ বা একটানা খেতেন এই সব ওষুধ(Rantac-Zintac Medicine)।

ডাক্তার ,হসপিটাল লেগেই থাকছে সারাক্ষণ? কিন্তু বুজতে পাচ্ছেন না কেন? সময় থাকতে সাবধান হন। rantac,zintac থেকে হতে পারে ক্যান্সার। এই ধরনের অ্যাসিলক ওষুধ বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে হতে পারে ক্যান্সার। বাজারে বহুল প্রচলিত ট্যাবলেট এই Ranitidin গ্রুপের । যা আপনারই অজান্তে ডেকে আনছে মহাবিপদ। সুস্থ হতে গিয়ে হয়ে পড়ছেন আরও অসুস্থ। একটানা দীর্ঘদিন ধরে এই ওষুধ খেলে তখনই বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি। তবে কেউ যদি ৭০ বছর ধরে প্রতিদিন এই ওষুধ খান তাহলে তাঁর ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি অবধারিত।

রেনিটিডিন কি?

ব়্যান্টিডাইন হল একরকম সাধারণ নুন, যা দেশ জুড়ে ব্যাপক ভাবে বিক্রি করা হয় Aciloc, Zinetac এবং Rantac নামে। সাধারণত বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং পেট ব্যথার সমস্যার জন্য এই ওষুধ দেওয়া হয়। গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডুওডেনাল আলসার রোধ করার জন্যই ব্যবহার করার কথা বলা হয় এই ওষুধের। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মতে এই ওষুধ গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নিঃসরণ এবং বেসাল গ্যাস্ট্রিক নিঃসরণে বাধা দেয়। যেখান থেকে হিস্টামিন এবং পেন্টাগ্যাস্ট্রিন অধিক নিঃসরণ হয়।

এই আশঙ্খা আগেই ছিল,এবার তদন্তের নির্দেশ সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এর। প্রত্যেকটি রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই সব ওষুধে ক্যানসারের উপাদান কতটা পরিমাণে রয়েছে,তা খতিয়ে দেখতে বলল সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন। আগেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিল এই রেনিটিডিন ওষুধের মধ্যে এন-নাইট্রোসোডিমেথাইলামাই নামের একটি উপাদান রয়েছে। যা থেকে ক্যানসারের আশঙ্কা থেকে যায়। ২০১৯ সালে এই সব ওষুধের মধ্যে ক্যানস্যার সৃষ্টিকারী উপাদানের খোঁজ পাওয়ার পর থেকে এবং জিনট্যাক হার্টবার্নের কারণ এর প্রমাণ পাওয়ার পর থেকেই তদন্ত শুরু করে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।