Mamata Blames DVC : জল ছাড়া নিয়ে ডিভিসিকে দুষলেন মমতা, দেখছেন গভীর ষড়যন্ত্র!

54

ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ অগাস্ট : ডিভিসি থেকে ছাড়া জলেই রাজ্যের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার ডিভিসিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত এই সংস্থা ধীরে ধীরে ‘বাংলা বিরোধী’ রূপ নিচ্ছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এক্স-এ একটি পোস্টে ডিভিসিকে দায়ী করে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Blames DVC)।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-এ পোস্ট করে জানান, “ডিভিসির ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ’ ব্যবস্থা আবারও বাংলা ডুবিয়ে দিয়েছে। এবারের ব্যর্থতা শুধু নজিরবিহীন নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

তিনি জানান, ২০২৪ সালের জুন ও জুলাই মাসে ডিভিসি থেকে ৫০,২৮৭ লক্ষ কিউবিক মিটার জল ছাড়া হয়েছে, যেখানে গত বছর এই পরিমাণ ছিল মাত্র ৪,৫৩৫ লক্ষ কিউবিক মিটার। অর্থাৎ, এবার ছাড়া হয়েছে গত বছরের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ এবং ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ গুণ বেশি জল।

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “এটি কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এটা পুরোপুরি মানুষের তৈরি একটি বিপর্যয়। দক্ষিণবঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্যা সৃষ্টি করার একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত চলছে।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ডিভিসি থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার ফলেই একাধিক জেলা প্লাবিত হয়েছে, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, বহু বাঁধ ও রাস্তা ভেঙে পড়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ডিভিসির এই ভূমিকা কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলা-বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন। যেভাবে কেন্দ্র রাজ্যকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে, এটি তারই এক সচেতন পদক্ষেপ।” পোস্টের শেষাংশে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “বাংলায় পরিকল্পিতভাবে বন্যা ঘটানো হচ্ছে। এই চক্রান্ত অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এলাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে। বহু জায়গা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে খাবার ও পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ডিভিসি বারবার রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছাড়ে। নিজেদের ইচ্ছেমতো জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে বারবার ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় বাংলার মানুষকে। তাঁর দাবি, চলতি বছরেও সেই একই চিত্র দেখা গেছে। এই বিষয়ে ডিভিসিকে চিঠি পাঠানো হলেও কার্যত তাতে কোনও ফল মেলেনি।