Bihar SIR : ৬৫ লক্ষ নাম বাদ কেন ? কমিশনের কাছে উত্তর তলব সুপ্রিম কোর্টের

65

ডিজিটাল ডেক্স ৬ই অগাস্টঃ অবৈধ ভোটার বাছতে গিয়ে গাঁ উজাড় হওয়ার জোগাড়! বিহারের ভোটের তালিকা থেকে বাদ ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম! কিন্তু কেন বাদ দেওয়া হল এত ভোটারের নাম, কারাই বা বাদ পড়লেন? এসব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালত এই ৬৫ লক্ষ বাদ পড়া ভোটার সম্পর্ক লিখিত আকারে তথ্য চাইল কমিশনের কাছে(Bihar SIR )।

এ দিন শীর্ষ আদালতে প্রশান্ত ভূষণ বলেন,‘খসড়া তালিকায় শুধু বলা হয়েছে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই ৬৫ লক্ষ নামের কোনও তালিকা দেওয়া হয়নি। আরও বলা হয়েছে ৩২ লক্ষ মানুষ স্থানান্তরিত হয়েছেন, তারও কোনও বিবরণও দেওয়া হয়নি। কারা এই ৬৫ লক্ষ, কারা স্থানান্তরিত হয়েছেন এবং কারা মৃত, তা তাদের (নির্বাচন কমিশনের) প্রকাশ করা উচিত। স্পষ্টতই ব্লক লেভেল অফিসাররা এই ব্যক্তিদের নাম তালিকা থেকে অপসারণের সুপারিশ করেছেন। তারা দু’টি নির্বাচনী এলাকার জন্য এটি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু অন্যান্য এলাকাগুলির কী হবে?’

বিচারপতি সূর্য কান্ত জানান, নির্বাচন কমিশনের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুসারে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের এই তথ্য দেওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘কোন কোন রাজনৈতিক দলকে এটি সরবরাহ করা হয়েছে, তার একটি তালিকা দিন। আমরা ১২ অগস্ট এই মামলার শুনানি করব। শনিবারের মধ্যে আপনাদের (নির্বাচন কমিশন) জবাব দাখিল করুন। মি: ভূষণকে এটি দেখতে দিন। তার পরে আমরা দেখব কী প্রকাশ করা হয়েছে এবং কী হয়নি।’বিচারপতি সূর্য কান্ত আরও জানান, যাদের নাম বাদ গিয়েছে, তারা যাতে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পান, সেটা নিশ্চিত করবে আদালত।

এডিআর-এর আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া এই ৬৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ২২ লক্ষ মারা গিয়েছেন, ৭ লক্ষ ভোটারের নাম একাধিক স্থানে নিবন্ধিত হয়েছে বলে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর প্রায় ৩৫ লক্ষ ভোটার হয় অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন অথবা তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

১ অগস্টের এই বাদ পড়া ৬৫ লক্ষ ভোটারের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকাতেও নামগুলির পাশে লেখা নেই কেন তাদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, বিরোধীদের অভিযোগ, নিবিড় সংশোধনের পর সংশোধিত যে তালিকা নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে, সেটাও ত্রুটিপূর্ণ। তাড়াহুড়োর চক্করে বুথ লেভেল অফিসাররা বহু নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছেন। ফলে সংশোধিত ভোটার তালিকাও ত্রুটিপূর্ণ। আরজেডির অভিযোগ, বুথ লেভেল অফিসাররা টার্গেট পূরণের জন্য ভোটারদের সঙ্গে কথা না বলেই ফর্ম পূরণ করে দিয়েছেন। অনেক ভোটারের নামে ফর্ম পূরণ হয়েছে, অথচ তিনি জানেন না। বহু মৃত ভোটারের নামেও এভাবেই ফর্ম ফিল আপ হয়েছে। ফলে ভুয়ো ভোটার ধরার যে দাবি কমিশন করছে, সেটাও ভ্রান্ত।