SIR, Vote Chori, INDIA Block: ভোটচুরি,SIR-এ উত্তাল দিল্লি,আটক রাহুল-প্রিয়াঙ্কা সহ একাধিক সাংসদ

64

ডিজিটাল ডেস্ক ১১ই অগাস্টঃ বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ব্লকের প্রায় ২০০ সাংসদ আজ, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবন থেকে পদযাত্রা করেন নির্বাচন কমিশনের দফতরের উদ্দেশে। অভিযোগ,বিজেপির সুবিধার্থে কমিশন ভোটার তালিকা জালিয়াতি ও নানা কারচুপির মাধ্যমে ‘ভোট চুরি’ করছে। এই পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এসআইআর এর বিরোধিতায় সকাল থেকেই সরব বিরোধী দলের সাংসদরা। তবে বেলা বাড়তেই একপ্রকার অবরুদ্ধ দেশের রাজধানী। রাজধানীতে স্লোগান, প্রতিবাদ, ধুন্ধুমার। অনুমতি ছাড়া মিছিলের অভিযোগে একে একে আটক করা হচ্ছে সাংসদদের। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, রাজপথে মিছিলের অভিযোগে, রাহুল গান্ধীদের আটক করা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির নেতারা বলতে শুরু করেছেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়া মিছিলে বেরোলে, আটক স্বাভাবিক। সংসদ ভবন থেকে কিছু দূরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকালে। ব্যারিকেডে চড়ে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেবরা। ব্যারিকেড টপকে চলে আসেন অখিলেশ যাদব। অন্যদিকে, বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে(SIR, Vote Chori, INDIA Block)।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু করেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। লক্ষ্য ছিল নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও। পরিস্থিতি খারাপ আকার নিতে পারে অনুমান করে কমিশনের তরফে বিরোধী শিবিরকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়,এই ইস্যুতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে ৩০ জন প্রতিনিধির নাম পাঠাতে বলা হয়। সময় দেওয়া হয় দুপুর ১২টা। যদিও দিল্লি পুলিশের দাবি বিরোধী সাংসদদের এই মিছিলের অনুমতিও দেওয়া হয়নি দিল্লি পুলিশের তরফে। এই অবস্থায় সংসদ ভবন থেকে মিছিল বের হওয়ার পর কিছুটা দুরেই ব্যারিকেড তৈরি করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পালটা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন সাংসদরা।

পরে দিল্লি পুলিশ যখন আটক করে রাহুল গান্ধীকে,তখন তিনি বলেন ‘এই লড়াই রাজনৈতিক নয়। এটা সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। এখানে কারও কথা বলার অধিকার নেই। কথা বলেলই আটক। আমরা স্বচ্ছ ভোটার তালিকার লড়াই চালিয়ে যাবই।’ তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘আজ বিরোধী জোটের প্রত্যেক সাংসদ নির্বাচন কমিশনের সামনে প্রতিবাদ করতে নেমেছেন। কারণ, যাঁরা দেশের নাগরিক, তাঁদের ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে কমিশন।’ তৃণমূল সাংসদদের প্রশ্ন, যদি ভোটার তালিকায় ভুলই থাকে, তা হলে ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন কী ভাবে হলো? মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এর জবাব দিতে হবে। না হলে উনি পদ ছাড়ুন।

সোমবার পুলিশ মিছিল আটকাতেই রাস্তায় বসে পড়লেন বিরোধী জোটে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন দলের সাংসদেরা। রাস্তায় বসেই কমিশনের বিরুদ্ধে ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগ তুলে স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। বিভিন্ন ভাষার স্লোগান শোনা যায়। দেখা যায় দেশের বিভিন্ন ভাষায় লেখা পোস্টারও। প্রতিটি পোস্টারেই কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। চেয়ার বসেছিলেন প্রবীণ সাংসদ শরদ পওয়ার, মল্লিকার্জুন খাড়গে। অবস্থান তুলতে সাংসদদের আটক করা শুরু করে দিল্লি পুলিশ। আটক করে বড় বড় ৩টি বাসে তোলা হয় রাহুল, প্রিয়াঙ্কা, মহুয়া, ডেরেক, অখিলেশ, ডিম্পেল সহ একাধিক INDIA জোটের সাংসদদের।