ECI West Bengal Government Fight : সাসপেন্ড ও FIR-এর নির্দেশ ঘিরে কমিশন-নবান্ন সংঘাত

65

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ অগাস্ট : সোমবার বিকেল পর্যন্ত ডেডলাইন দিয়ে মুখ্যসচিবকে কমিশনের কড়া চিঠি। কেন এখনও পদক্ষেপ নয়? তা জানতে চেয়ে সোমবার বিকেল ৩টের মধ্যে জবাব তলব করা হয়। রাজ্যের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে দুই অভিযুক্ত আধিকারিক তমলুক ব্লকের পিএএও এবং ময়নার এইআরও সুদীপ্ত দাস এবং বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার নির্বাচনী কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি মতো সাসপেন্ড কিংবা এফআইআর করা হয়েছে কিনা তা জানানো হয়নি নবান্নের তরফে। নির্বাচন কমিশনে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপ পরে জানানো হবে (ECI West Bengal Government Fight)।

এর আগে ৪ সরকারি অফিসারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য একেবারে সময় বেঁধে দিয়ে মুখ্যসচিবকে কড়া চিঠি দেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সচিব। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে ৪ সরকারি অফিসারকে সাসপেন্ড করতে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে FIR দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজন হলেন বারুইপুর পূর্বের ERO দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, AERO তথাগত মণ্ডল এবং ময়নার ERO বিপ্লব সরকার ও AERO সুদীপ্ত দাস। ময়নার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারের বিরুদ্ধেও FIR দায়ের করতে বলা হয়। নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, এই ৪ জন ERO এবং AERO ভোটার তালিকায় ভুলভাবে নাম তুলেছেন। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের সেই নির্দেশ মানা তো দূরের কথা উল্টে অভিযুক্ত অফিসারদের পাশে দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার অর্থাৎ প্রথম চিঠি দেওয়ার ৩ দিনের মাথায় এবার একেবারে সময় বেঁধে, কড়া চিঠি দিয়ে নবান্নর ওপর পাল্টা চাপ তৈরি করে কমিশন। শুক্রবার ফের মুখ্য়সচিবকে পাঠানো চিঠিতে কমিশনের সচিব লিখেন এই অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এমন কোনও চিঠি কমিশনের কাছে পৌঁছোয়নি। এরপর চিঠিতে পরিষ্কার লেখা হয়, কমিশনের নির্দেশ, এই অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন এবং ১১ অগাস্ট দুপুর ৩টের মধ্যে নির্দেশ পালন করা হয়েছে, এই রিপোর্ট দিন।

এর আগে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অফিসারদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে আক্রমণ করেছে নির্বাচন কমিশনকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কালকে আমার দু’জন অফিসারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে, কী না তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। আমরা বলি কী, তোমার নির্বাচন এখনও ঘোষণা হয়েছে? কোন আইনের বলে তুমি নোটিস পাঠিয়ে দিচ্ছ? নির্বাচনের অনেক দেরি আছে। এখন থেকে সাসপেন্ড করতে শুরু করেছে! হরিদাস সব। ক্রীতদাস সব।”