Modi Talks With Zelensky : জেলেনস্কির ফোন মোদীকে, শান্তির বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

56

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ অগাস্ট : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আরও একবার কূটনৈতিক উদ্যোগ নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi Talks With Zelensky)। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি টেলিফোনে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। আলোচনায় মোদী আবারও জোর দিয়ে বলেন, চলমান যুদ্ধ দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে অবসান হওয়া উচিত।

টেলিফোন সংলাপের পর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে মোদী লেখেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভব সব রকম সহযোগিতা ও অবদান রাখতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

অন্যদিকে, জেলেনস্কি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিস্তারিতভাবে এই কথোপকথনের উল্লেখ করেন। তিনি জানান, রাশিয়া এখনও ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রবিবার জাপোরিঝিয়ার একটি বাস স্টেশনে রুশ হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন—এই ঘটনা মোদীকে অবহিত করেন তিনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আরও একবার কূটনৈতিক উদ্যোগ নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি টেলিফোনে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। আলোচনায় মোদী আবারও জোর দিয়ে বলেন, চলমান যুদ্ধ দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে অবসান হওয়া উচিত।

টেলিফোন সংলাপের পর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে মোদী লেখেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভব সব রকম সহযোগিতা ও অবদান রাখতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

অন্যদিকে, জেলেনস্কি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিস্তারিতভাবে এই কথোপকথনের উল্লেখ করেন। তিনি জানান, রাশিয়া এখনও ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রবিবার জাপোরিঝিয়ার একটি বাস স্টেশনে রুশ হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন—এই ঘটনা মোদীকে অবহিত করেন তিনি।

আলোচনায় উঠে আসে সম্প্রতি আয়োজিত ‘শান্তি আলোচনা’-য় ইউক্রেনের অনুপস্থিতির বিষয়টিও। গত শুক্রবার এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় আলাস্কায়, যেখানে মুখোমুখি হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বৈঠকের স্থান নির্বাচন। আলোচনার জন্য বেছে নেওয়া হয় এমন একটি প্রতীকী জায়গা, যা এক সময় রাশিয়ার মালিকানাধীন ছিল এবং পরে ওয়াশিংটনের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই জায়গা নির্বাচনও কূটনৈতিক বার্তার বহন করে।

জেলেনস্কি মোদীর সঙ্গে আলোচনায় অনুরোধ জানান যে, আলাস্কার বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়েছে, তা যেন ইউক্রেনের উপর জোর করে চাপিয়ে না দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, “ভারতের উচিত আমাদের শান্তি প্রচেষ্টায় সমর্থন জানানো এবং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা। ইউক্রেন সংক্রান্ত যে কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নেওয়া উচিত।”

মোদী ও জেলেনস্কির এই গুরুত্বপূর্ণ আলাপচারিতা এমন এক সময় হচ্ছে, যখন ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ আরও জটিল ও রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠছে, এবং আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক সমাধানের নানা উদ্যোগ জারি রয়েছে। এর আগেও একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়া ও ইউক্রেন— দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে।

তবে এখনও পর্যন্ত জেলেনস্কি বা ভ্লাদিমির পুতিন— কেউই যুদ্ধ থামানোর পথে স্পষ্টভাবে এগিয়ে আসেননি। এখন নজর থাকবে এই সাম্প্রতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনও বাস্তব পরিবর্তন আসে কি না, কিংবা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের ভূমিকা কতটা ফলপ্রসূ হয়।