ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ অগাস্ট : প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানা গেছে, বুধবার দিল্লিতে ইডির দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে (ED Summoned Suresh Raina)।
বিতর্কিত বেটিং অ্যাপ সংস্থার বিজ্ঞাপনে অন্যতম মুখ ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করেছেন তিনি। শুধু রায়নাই নন, একই সংস্থার প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংহ, যুবরাজ সিংহ, এবং অভিনেতা সনু সুদ ও উর্বশী রৌতেলাও।
অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট অ্যাপটি আসল উদ্দেশ্য গোপন রেখে প্রচার চালাত। নামের আড়ালে একাধিক নিষিদ্ধ অ্যাপের মাধ্যমে অবৈধভাবে ব্যবসা চালাত তারা, যা একাধিক ভারতীয় আইনের লঙ্ঘন। সংস্থার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন (FEMA), আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (PMLA)-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বর্তমানে ওই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে।
অভিযোগ আরও রয়েছে, সংস্থাটির লোভনীয় প্রচারে আকৃষ্ট হয়ে বহু সাধারণ মানুষ বিনিয়োগ করেন এবং পরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ।
বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংস্থার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন (FEMA) ও অর্থ পাচার রোধী আইন (PMLA)-সহ একাধিক ধারায় তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, শুধু সুরেশ রায়নাই নয়, শীঘ্রই তলব করা হতে পারে হরভজন সিংহ, যুবরাজ সিংহ, সোনু সুদ এবং উর্বশী রৌতেলাকেও।
ইডি সূত্রে দাবি, এই বেআইনি অ্যাপগুলি জনপ্রিয় তারকাদের মুখ হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করছে। এক ইডি আধিকারিক জানান, “তারকাদের জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়েই নিষিদ্ধ বেটিং অ্যাপগুলি সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।” যদিও এখন পর্যন্ত সোনু সুদ, উর্বশী রৌতেলা বা তাঁদের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে হায়দরাবাদে একই ধরনের অভিযোগে ২৫ জন তারকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ওই তালিকায় ছিলেন দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের তারকা বিজয় দেবরকোন্ডা, রানা দগ্গুবতী, মাঞ্চু লক্ষ্মী, প্রণীতা, প্রকাশ রাজ এবং নিধি আগরওয়াল। অভিযোগ ছিল, মোটা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তাঁরা বেটিং অ্যাপের প্রচার করে বহু সাধারণ মানুষকে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
ইডি তদন্ত করে দেখছে, এই তারকাদের সংশ্লিষ্ট অ্যাপগুলির সঙ্গে ঠিক কী ধরনের সম্পর্ক ছিল, লেনদেনের অঙ্কই বা কত ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে ইঙ্গিত, তদন্ত এগোলে আরও নাম উঠে আসতে পারে।