ডিজিটাল ডেস্ক ১৩ই অগাস্টঃ ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। ইতিমধ্যে মোদি সরকারের ইস্তফার দাবি জানিয়েছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। রীতিমতো তথ্যপ্রমাণ দিয়ে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হচ্ছে যে,নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে ২০২৪ সালের ভোটার তালিকায় ব্যাপক কারচুপি করেছে বিজেপি। দেশজুড়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এসআইআর ইস্যুতেও রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের একযোগে আক্রমণের মধ্যে দৃশ্যতই কোণঠাসা গেরুয়া শিবির(Sonia Gandhi)। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ভোটার তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি তুলল নরেন্দ্র মোদি,অমিত শাহের দল। আর তাদের নিশানায় সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস। ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার অনেক আগে সোনিয়ার নাম ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছিল বলে দাবি বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর।
মালব্যর সুরে সুর মিলিয়েছেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরও। দাবি করেছেন, ১৯৮০ সালে ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়েছিল সোনিয়া গান্ধীর। যদিও তিনি আরও তিন বছর পরে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে ১৯৮০ সালের দিল্লির একটি বুথের তালিকার ছবি পোস্ট করেছেন মালব্য। সেই তালিকায় দেখা গিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর নাম।
অমিতের দাবি, ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়, নয়াদিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকার সংশোধন চলাকালীন সনিয়ার নাম তোলা হয়, যেটা ১৯৮০ সালের নির্বাচনের আগে। আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক না হলে ভোটার হিসেবে নাম তোলার সুযোগ নেই। ১৯৮২ সালে বিতর্কের পর সেই নাম বাদ দেওয়া হয়। তবে ১৯৮৩ সালে নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ফের নাম তোলাও নিয়মভঙ্গ বলে দাবি মালব্যের। কারণ তাঁর দাবি, নির্ধারিত শেষ তারিখ ছিল ১ জানুয়ারি, অথচ সনিয়া নাগরিক হন এপ্রিলে। একই সঙ্গে বিজেপি রাহুল গান্ধীর গত বছরের মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের ভোট জালিয়াতির অভিযোগকেও ‘মিথ্যা ও সংখ্যার কারসাজি’ বলে কটাক্ষ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে সোনিয়া গান্ধীর জন্ম হয় ইটালিতে। ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করে ভারতে আসেন। ভারতের রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুযায়ী ভারতের নাগরিক নন এমন কারোর নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারবে না। সেই আইন ভাঙা হয়েছে। গত এক বছরে বিরোধীরা বিশেষ করে কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে যে, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং বিহারে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের আড়ালে ভোটার বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সনিয়া গান্ধী নিজের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে কখনও আবেদন করেননি। সে সময়কার নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই নাম তুলেছিলেন।” তাঁর এও দাবি, “নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, তারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের চাপ দেওয়ার কোনও ব্যাপার নেই।”