ডিজিটাল ডেস্ক, ১৫ অগাস্ট : সাঁতারু বুলা চৌধুরীর হিন্দমোটরের বাড়িতে আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি গেছে বহু মূল্যবান মেডেল ও স্মারক। তবে সৌভাগ্যবশত, কলকাতার বাড়িতে রাখা পদ্মশ্রী সম্মানটি অক্ষত রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগেও ওই বাড়িতে তিনবার চুরি হয়েছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই এলাকা ও বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে (Bula Choudhury Padmasree Theft)।
সাঁতারু বুলা চৌধুরীর হিন্দমোটরের বাড়িতে ফের চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি গেছে একাধিক মেডেল ও স্মারক। তবে পদ্মশ্রী সম্মানটি কলকাতার বাড়িতে থাকায় তা অক্ষত রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই বাড়িতে এর আগেও তিনবার চুরি হয়েছে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই এলাকাবাসীর মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
চুরির খবর জানতে পেরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পদ্মশ্রী সাঁতারু বুলা চৌধুরী। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
হিন্দমোটরের দেবাইপুকুর রোডে বুলা চৌধুরীর আদি বাড়ি। বর্তমানে তিনি সপরিবারে কলকাতার কসবায় বসবাস করেন। ফলে আদি বাড়িটি বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকে। মাঝেমধ্যে ওই বাড়ির দেখাশোনা করেন বুলার ভাই মিলন চৌধুরী, যিনি কাছাকাছি এলাকায় থাকলেও কিছুটা দূরে।
স্বাধীনতা দিবসের দিন ছুটি থাকায়, বোনের নির্দেশ অনুযায়ী সেদিন বাড়ি পরিষ্কার করতে যান মিলন। তবে বাড়িতে ঢুকেই চমকে যান তিনি। দেখতে পান, পিছনের গেটটি ভাঙা, ঘরের জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় রয়েছে। চুরি গেছে বুলা চৌধুরীর জেতা একাধিক মেডেল ও স্মারক। শুধু তাই নয়, বাথরুমের কল থেকে শুরু করে ঠাকুরঘরের জিনিসও উধাও।
চুরির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা থেকে উত্তরপাড়ায় ছুটে আসেন বুলা চৌধুরী। বাড়িতে ঢুকে পরিস্থিতি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। জানান, এই বাড়িতে এর আগেও একাধিকবার চুরি হয়েছে। প্রতিবারই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, কিন্তু সেভাবে কোনো তদন্ত হয়নি বলেই তাঁর অভিযোগ। এরই মাঝে ফের চুরি, যা তাঁকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে।
এই বিষয়ে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সাঁতারু বলেন, “মেডেলগুলো চুরি করে কী লাভ? ওগুলোতে কোনও আর্থিক মূল্য নেই, কিন্তু আমার কাছে অমূল্য। জীবনের পরিশ্রম আর কেরিয়ারের প্রাপ্তি এই স্মারকগুলো। আমার বাড়ি ফাঁকা থাকে বলেই বারবার টার্গেট করা হচ্ছে।”
তবে সামান্য স্বস্তি এটাই যে, তাঁর পদ্মশ্রী সম্মানটি কলকাতার বাড়িতে থাকার কারণে সেটি চুরি হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। থানার আইসি অমিতাভ সান্যাল জানিয়েছেন, চুরির ঘটনার খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হিন্দমোটরে বুলা চৌধুরীর দাদা-বৌদি ও ছোট ভাই বাস করেন। তাঁদের জানান, এর আগেও তিনবার চুরির ঘটনা ঘটেছে বুলার বাড়িতে। প্রতিবারই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিছুদিন পুলিশের তরফে পাহারার ব্যবস্থা করা হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই বাড়িটি কার্যত ফাঁকাই পড়ে থাকে।