ডিজিটাল ডেস্ক ১৭ই অগাস্টঃ ‘খেলা হবে’ নাকি খেলা হচ্ছে ?’খেলা হবে’ নামক কথাটির সঙ্গে বিতর্ক যেন এটুলির মতো লেগে আছে । আর এবার খেলা হবে দিবসকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়েও ৷ ফুটবল মাঠে এক শিক্ষককে এলোপাথারি কিল,চড়,ঘুষি মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়ক সওকাত মোল্লার ঘনিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ৷ উত্তর কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন আক্রান্ত শিক্ষক ৷ ঘটনার প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা । কয়েকদিন আগেই মেদিনীপুরের ফুটবল মাঠে রেফারির পেটে লাথি মারার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতার ভাইপো (TMC Leader Hit Teacher)।
খেলা হবে দিবস উপলক্ষে ভাঙড় 2 ব্লক এবং পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আন্তঃরাজ্য ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয় কারবালা ফুটবল ময়দানে । শনিবার ছিল ফাইনাল ৷ খেলার সূচনায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সওকাত মোল্লা-সহ স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা । এদিন ভগবানপুর হাইস্কুলের সঙ্গে হাতিশালা সরোজিনী হাইমাদ্রাসার খেলা ছিল । সেই খেলাকে কেন্দ্র করে প্রথমে বচসা শুরু হয় ৷
খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে হাইমাদ্রাসার শিক্ষক নাসিরুদ্দিনকে মারধরে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা খয়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৷ তিনি ভাঙড় 2 গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমির কর্মাধক্ষ্য ৷ উত্তর কাশীপুর থানায় নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত শিক্ষক ৷ কিন্তু, থানা থেকে তাঁকে কেস ডায়েরি নম্বর দেওয়া হয়নি বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন আক্রান্ত শিক্ষক ৷
অভিযোগ পত্রে শিক্ষক জানান, মাঠে খেলা চলাকালীন ভগবানপুর হাইস্কুলের সভাপতি খয়রুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত তাঁর উপর চড়াও হন ৷ তাঁকে মারধর করা হয় ৷ তাঁর সঙ্গে আরও তিন শিক্ষককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ নাসিরুদ্দিনের ৷ ছাত্রদের গালিগালাজ করা হয় ৷
উল্লেখ্য, একদিন আগে মাঠে খেলা চলাকালীন রেফারিকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের ভাইপো রাজা খানের বিরুদ্ধে ৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় । সোশাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল ৷ সোশাল মিডিয়ায় সরব হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই রাজ্যে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ৷