ডিজিটাল ডেস্ক, ১৭ অগাস্ট : মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ফের দুর্যোগে কাবু কাশ্মীর। এবার মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলা (Kashmir Cloud Burst)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাতীয় সড়কসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং নদী সংলগ্ন অঞ্চলগুলি থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের চাসোটি এলাকায় ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৬০ জন।
কাশ্মীরে জারি রয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। এর মধ্যেই রবিবার ভোররাতে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে হড়পা বানের সৃষ্টি হয় জম্মুর কাঠুয়া জেলায়। বিশেষ করে জাঙ্গলোট এলাকার একটি গ্রাম এই দুর্যোগে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেললাইন, জাতীয় সড়ক ও একটি থানাও। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস, গোটা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
অবিরাম বৃষ্টির জেরে নদী ও জলাশয়গুলির জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। নদী সংলগ্ন বা জলভরা অঞ্চলগুলিতে আপাতত না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।এদিকে, রবিবার সকালে হড়পা বানের প্রভাব পড়ে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডিতেও। পরিস্থিতির জেরে বেশ কয়েকটি জাতীয় সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের চাসোটি এখনও মেঘভাঙা বৃষ্টির ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। গত বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ দুর্যোগে অন্তত ৬০ জনের প্রাণহানি হয়েছে, আহত শতাধিক। প্রায় ৫০০ জন এখনো আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দুর্যোগের গুরুত্ব বুঝে স্বাধীনতা দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বাতিল করেছেন তিনি।