ডিজিটাল ডেস্ক ১৭ই অগাস্টঃ দোরগোড়ায় বিহার বিধানসভা নির্বাচন। অন্যদিকে,ভোট ‘চুরি’ ও বিহারে SIR নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এই আবহে আজ বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিহারের সাসারামে ভোটার অধিকার যাত্রার সূচনা অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন(Rahul Gandhi News)।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ দিন, ২০টির বেশি জেলা ঘুরে বিহারের ১৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ১ সেপ্টেম্বর পটনা ময়দানে এই যাত্রা শেষ হবে। রাহুল জানিয়েছেন, শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, এটি গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষার আন্দোলন। ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় শামিল হওয়ার জন্য জনতাকে আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ।
আগামী ১ সেপ্টেম্বরও পাটনায় বিরাট পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকবেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারাও। রাহুল গান্ধী জানিয়েছে, তাদের এই দেশের গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই মানুষ চিরদিন মনে রাখবে। সূত্রের খবর,পাটনার পদযাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন খোদ রাহুল। তিনি বলেন, “রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও বিকল্প নেই। সংসদে এই সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের আবেদন বারবার এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আচরণ আমাদের বাবাসাহেব আম্বেদকরের সেই সতর্কবার্তার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, যেখানে তিনি বলেছিলেন বোকা বা ধূর্তরাই সংবিধানের কাছে সবচেয়ে বড় হুমকি।“
লোকসভা নির্বাচনের আগেই তিনি করেছিলেন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা , আর এবার বিধানসভা ভোটে আগেই ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন রাহুল। আজ ১৭ অগাস্ট বিহারের সাসারাম থেকে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু হল। বিরোধী শিবিরের নেতারাও এই পদযাত্রায় শামিল হবেন। RJD নেতা তেজস্বী যাদব থাকছেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মূলত যে জায়গাগুলিতে ভোটারদের নাম বাদ গিয়েছে, সেখানে পদযাত্রা হবে। কংগ্রেসের কথায়, দলিত, খেটে খাওয়া, পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের কন্ঠরোধ করতে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এই লড়াই। সূত্রের খবর, ১৬ দিনের এই সফরে গয়া, মুঙ্গের, ভাগলপুর, কাটিহার, পূর্ণিয়া, মধুবনী, দ্বারভাঙা, পশ্চিম চম্পারণ-সহ ২০টির বেশি জেলা ঘুরবেন রাহুল। কর্মসূচি চলাকালীন ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন কংগ্রেস সাংসদ। মহাগঠবন্ধনের শরিকি দলগুলিও রাহুলের এই যাত্রাকে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছে। বিহারে রাহুলের এই ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
অন্যদিকে,শনিবারই এই যাত্রায় তেজস্বী যাদবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরার জন্য হিন্দি এবং ভোজপুরি ভাষার মিশ্রণে আড়াই মিনিটের একটি গান প্রকাশ করেছে আরজেডি। ঘটনাচক্রে, রবিবারই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠেক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন।
কংগ্রেস নেতা বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো এনডিএ শরিকও বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেবল দুটি দল, বিজেপি এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জেডি(ইউ), এই বিষয়ে একটিও কথা বলেনি। যাই হোক, বিহারে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকার আসন্ন নির্বাচনে পরাজিত হতে চলেছে। রাজ্যের মানুষ বর্তমান শাসনব্যবস্থায় বিরক্ত।“