Hindol Mjumder Jadavpur University: গ্রেফতারির পাঁচ দিনের মাথায় যাদবপুরের প্রাক্তনী হিন্দোলের জামিন

91

ডিজিটাল ডেস্ক ১৮ই অগাস্টঃ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতারির ৫ দিনের মাথায় অভিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী হিন্দোল মজুমদার জামিন পেয়েছেন। ৩ দিন পুলিশ হেফাজত শেষের পর সোমবার পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল হিন্দোলকে। তাঁর আইনজীবী গোপাল হালদার আদালতে জামিনের পক্ষে সওয়াল করে জানান, মামলায় নতুন কোনও অগ্রগতি নেই। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল স্পেনে থাকেন। কলকাতায় থাকেন না। বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেশে ফেরার পরেই গ্রেফতার করা হয়। সরকারি কৌঁসুলি অবশ্য হিন্দোলের জামিনের বিরোধিতা করেন। পুলিশের তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছিল, হোয়াট্‌সঅ্যাপে যাদবপুরের প্রাক্তন পড়ুয়াদের মেসেজ করে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন হিন্দোল(Hindol Mjumder Jadavpur University)। বিষয়টি সবিস্তার কেস ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান সরকারি কৌঁসুলি। পাল্টা হিন্দোলের আইনজীবী আদালতে বলেন, ছেলেটার শিক্ষাগত যোগ‍্যগত দেখুন, ভদ্রলোকের ছেলে। ঘটনার সময় সশরীরে উপস্থিতও ছিল না। এরপরই দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আলিপুর আদালত-র বিচারক স্পেন ফেরত ওই গবেষককে জামিন দিয়েছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসিতে বি-টেক করেছিলেন হিন্দোল। বর্তমানে তিনি স্পেনে গবেষণারত। স্পেন থেকেই বুধবার দেশে ফিরেছিলেন। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করা হয়। হিন্দোলের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা ছিল। সেই কারণে অভিবাসন বিভাগ তাঁকে আটকায়। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় দিল্লি পুলিশ। আজ ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আদালতে হাজির করানো হয় তাঁকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল, তার মূলচক্রী ছিলেন হিন্দোল। লুকআউট নোটিসের ভিত্তিতে তাঁকে বুধবার সকালে দিল্লিতে আটক করা হয়। তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ব্রাত্য। সেখান থেকে বেরোনোর সময় দফায় দফায় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। ঘিরে ফেলা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি। মূলত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ব্রাত্য। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাতে জখম হন ব্রাত্য নিজেও। বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের পাল্টা অভিযোগ, মন্ত্রীর গাড়ি এক ছাত্রকে ‘চাপা’ দিয়েছে। পরে ওয়েবকুপার সদস্যদের সঙ্গেও বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এই ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তাতে হিন্দোলের নাম ছিল।