Anandapur Youth Missing Mistry : স্কুটার চালানো শিখতে গিয়ে আনন্দপুরে নিখোঁজ তরুণ-তরুণী! ঘনাচ্ছে রহস্য

91

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৯ অগাস্ট : আনন্দপুরের পঞ্চান্নগ্রাম এলাকায় স্কুটার চালানো শেখার সময় হঠাৎ নিখোঁজ এক তরুণী ও তাঁর সঙ্গী (Anandapur Youth Missing Mistry)। ঘটনায় রহস্যের আবরণ—এটা কি দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত খুন?

ঘটনাস্থল চিনা মন্দিরের কাছাকাছি একটি খাল। সেখানেই পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও ডুবুরি দল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা ‘বাঁচাও’ বলে একটি মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে খালপাড়ে শুধু একটি স্কুটারই পাওয়া যায়।

এ নিয়ে বাড়ছে প্রশ্ন। তরুণীর সঙ্গী হঠাৎ নিখোঁজ—তাঁর খোঁজও মেলেনি এখনও। কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, তিনিই কি তরুণীকে খালে ঠেলে খুন করে পালিয়ে গেলেন? নাকি সত্যিই দুর্ঘটনায় তরুণী পড়ে গেছেন খালের জলে?

তদন্তে নেমেছে আনন্দপুর থানার পুলি। চলছে জোরদার তল্লাশি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ। রহস্যে মোড়া ঘটনাটি এখন স্থানীয়দের মধ্যেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা রনিতা বৈদ্য স্কুটার চালানো শিখতে গিয়েছিলেন আনন্দপুরের চিনা মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। সঙ্গে ছিলেন রোহিত আগরওয়াল নামে এক যুবক। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকেই দু’জনের আর কোনও খোঁজ মিলছে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ওই এলাকায় স্কুটার চালাতে দেখা গিয়েছিল রনিতা ও রোহিতকে। কিছু স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, দু’জনের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হচ্ছিল। এমনকি কেউ কেউ দেখেছেন, সেই বিবাদের মাঝেই রোহিত রনিতাকে ধাক্কা দেন—তার পরেই খালের দিকে চলে যেতে দেখেন তরুণীকে।

এই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—রোহিত কি ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মেরে রনিতাকে খালে ফেলে দেন? নাকি স্কুটার চালানোর সময় ব্যালান্স হারিয়ে দুর্ঘটনাবশত খালে পড়ে যান রনিতা? এবং তারপর আর জল থেকে উঠতে না পেরে নিখোঁজ হয়ে যান? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তল্লাশি চালাচ্ছে ডুবুরি দলও। পুরো ঘটনার জট কাটাতে মরিয়া তদন্তকারী দল।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই আনন্দপুর থানার পুলিশ ডুবুরি নামিয়ে নিখোঁজ রনিতা বৈদ্যের খোঁজে খাল চষে ফেলছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুটার ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। তবে মোবাইলটি রনিতার, না কি রোহিতের—তা এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রনিতা ও রোহিতের ঝগড়ার পর ছেলেটিকে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে দেখা যায়। ফলে সন্দেহের তীর আরও বেশি করে রোহিতের দিকেই ঘুরছে। তবে তদন্তকারীদের একাংশ রনিতার দেহ উদ্ধারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারণ, এই খাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। যদি সত্যিই তিনি পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে থাকেন, তাহলে সারারাতের স্রোতে দেহ ভেসে বহু দূরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে উদ্ধার অভিযান হবে অনেক কঠিন ও সময়সাপেক্ষ।