ECI On Voter List New Update : ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতার লক্ষ্যে ২৮টি পদক্ষেপ ঘোষণা কমিশনের! ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়লে ব্যবহার করা যাবে আধার

126

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৯ অগাস্ট : গত ছ’মাস ধরে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক করার উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন—এমনটাই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে। কমিশনের দাবি, ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ, ভোট প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যেই চলছে এই পদক্ষেপ (ECI On Voter List New Update)।

এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন মোট ২৮টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে। এর পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ৪,৭১৯টি বৈঠকও করা হয়েছে। শুধুমাত্র মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরাই ৪০টি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। রাজ্য ও জেলা স্তরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বসছে কমিশন। এমনকি রাজ্য ও জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতানেত্রীদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সব মিলিয়ে, আগামী নির্বাচনে আরও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর ভোট প্রক্রিয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে কমিশনের উদ্যোগ।

বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর প্রথম পর্যায়ে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ৬৫ লক্ষ নাগরিক—রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।

কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ৬৫ লক্ষ বাদ পড়া ভোটারের মধ্যে ৩৬ লক্ষকে অন্যত্র স্থায়ীভাবে বসবাসকারী এবং ২২ লক্ষকে মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বাদপড়া ভোটারদের তালিকা ও নাম মুছে ফেলার কারণ এবার প্রকাশ্যে এনেছে নির্বাচন কমিশন।

তবে এই প্রক্রিয়া ঘিরেই নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই যাঁদের ‘মৃত’ বলে তালিকা থেকে নাম কাটা হয়েছে, তাঁরা বাস্তবে জীবিত। ফলে এই সংশোধন প্রক্রিয়ায় বড়সড় ভুল হয়েছে বলেই দাবি বিরোধী দলগুলির। বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ। সেই তুলনায় প্রথম খসড়া তালিকায় নাম রয়েছে ৭ কোটি ২৪ লক্ষের মতো মানুষের। অর্থাৎ প্রায় ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে, যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।