ISF Dharmatala Chaos : ধর্মতলায় ধুন্ধুমার! এসআইআর-ওয়াকফ প্রতিবাদে ISF

81

ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ অগাস্ট : এসআইআর-ওয়াকফ ইস্যুতে প্রতিবাদের নামে ধর্মতলায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠল আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। কলকাতা পুলিশের অনুমতি না নিয়েই মেট্রো চ্যানেলে ধর্নামঞ্চ তৈরির চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সেই মঞ্চ সরাতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এবং আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় (ISF Dharmatala Chaos)।

অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। এই ঘটনার মাঝে, ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি মাঝ রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে। ঘটনার জেরে ধর্মতলা অঞ্চলে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ধর্মতলায় আইএসএফের বিক্ষোভ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের আচমকা বিক্ষোভের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে এলাকার যান চলাচল। সাধারণ মানুষ পড়েন চরম দুর্ভোগে।

জানা গেছে, রাজ্যে যে কোনও সময় চালু হতে পারে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী আইন (SIR)। সেই সম্ভাবনার প্রতিবাদে এবং ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার বিক্ষোভের ডাক দেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

হঠাৎ করেই ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেলে আইএসএফ কর্মীরা জড়ো হয়ে ধর্নামঞ্চ তৈরির চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি চলতে থাকে, যার ফলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়।

ধর্মতলা এলাকায় পরিস্থিতি একসময় সম্পূর্ণভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ চরমে পৌঁছালে রাস্তায় বসে প্রতিবাদে সামিল হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ তাঁকে আটক করে। আটকের পর নওশাদ অভিযোগ করেন, পুলিশের এক সদস্য তাঁকে সজোরে পেটে ঘুষি মারে। যদিও কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই তাঁকে আটক করা হয়েছে, কোনওরকম জোরজবরদস্তি করা হয়নি।