ডিজিটাল ডেস্ক ২৩শে অগাস্টঃ বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এ অভিযোগ আসছে বারবার । এবার কেরালায় গণধর্ষণের শিকার বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক! কেরলে কাজে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কলকাতা লাগোয়া মহেশতলার সন্তোষপুরের ১৬ বিঘা বস্তির ওই কিশোরী! ১৮ আগস্ট ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। গত পরশু যখন কাজে বের হন, তারপর থেকে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। কেরলে রামা নাট্যু এলাকায় তাঁরা থাকতেন। পরিবারের তরফ থেকে বাড়ির মেয়ে না ফেরায় ফেরকা থানায় অভিযোগও করা হয়(Bangali Migrent Worker In Kerala)। পরে অভিযোগ, নির্যাতনের পর যখন তরুণীর জ্ঞান ফেরে তখন তাঁকে কেরালা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে সিরকা থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
সূত্রের খবর মহেশতলা সন্তোষপুর ১৬ বিঘা বস্তির ১২ -১৩ জনের পরিবারের সদস্য গিয়ে কেরলে থাকেন। সেখানেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে পরিবারের সদস্যরা। সন্তোষপুর ১৬ বিঘা বস্তির একটি মেয়ে ছ’মাস আগে তাঁর দাদু দিদার কাছে কেরলে থাকবার জন্য গিয়েছিলেন। অভিযোগ, দেড় মাস আগে একটি শপিংমলে জামা কাপড় ভাঁজ করবার কাজ পান নির্যাতিতা। পরিবার সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গত পরশু যখন কাজে বের হন, তারপর থেকে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। কেরলে রামা নাট্যু এলাকায় তাঁরা থাকতেন। পরিবারের তরফ থেকে বাড়ির মেয়ে না ফেরায় ফেরকা থানায় অভিযোগও করা হয়।
পরে নির্যাতিতাকে কেরলের একটি হোমে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল কেরালা উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে সুত্রের খবর । আইনি সহায়তা-সহ সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে এই ধর্ষণের ঘটনায় ফেডুকে থানায় পকশো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রিয়াজ এখন ও অধরা। ফেডুকে থানার পুলিশ ইতিমধ্যে গাড়ির ড্রাইভার যোগীরা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের খুঁজে বার করার আশ্বাস দিয়েছেন ফেডুকে থানার পুলিশ। নির্যাতিতা কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী ১জন ধর্ষন করেছে কিন্তু নির্যাতিতা পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাননি সাংসদের প্রতিনিধি দল।
যেখানে বারংবার বাঙ্গালি নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায় সহ নানান রাজনৈতিক দলগুলি। সংসদেও এই নিয়ে প্রায় প্রতিনিয়ত বাঙ্গালি বাংলা অস্মিতা নিয়ে হরতাল বিক্ষোভ হচ্ছে এখনও। বেশ কিছুদিন আগেই বীরভূম থেকে বাংলা ভাষা বাঁচানোর অধিকার নিয়ে গর্জে ওঠে। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের বাঙ্গালিদের উপর অত্যাচার ঘিরে তীব্র আলোড়ণের সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে। যেখানে বাঙ্গালিরা বাংলা বলে বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ সূত্রের খবর।