ডিজিটাল ডেস্ক ২৩শে অগাস্টঃ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জের। রবিবার ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। কলকাতা পুলিশের তরফে এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানচলাচল বন্ধ থাকলে, সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হবেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে যানজট কমিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখাই চ্যালেঞ্জ কলকাতা পুলিশের। তাই বিকল্প রুটে যান চলাচলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে(Second Hooghly Bridge)।
* এজেসি রোড থেকে আসা গাড়িগুলি হেস্টিংস ক্রসিং হয়ে জর্জ গেট রোড, স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের বন্দোবস্ত করা হবে।
* হেস্টিংস ক্রসিং হয়ে স্ট্র্যান্ড রোড ধরে সিজিআর রোড ব্যবহারকারীদের হাওড়া ব্রিজে পৌঁছতে হবে।
* কেপি রোড ব্যবহারকারীদের ১১ ফার্লং গেট হয়ে কেপি রোড থেকে রেড রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজে উঠতে হবে।
* খিদিরপুর দিক থেকে সিজিআর রোড ধরে বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে আসা সকল ধরণের যানবাহন পূর্বমুখী হলে হেস্টিংস ক্রসিং থেকে বাম দিকে মোড় নিয়ে সেন্ট জিওর্জেস গেট রোড হয়ে -স্ট্র্যান্ড রোড ধরে হাওড়া ব্রিজ ব্যবহার করা হবে।
হাওড়া, সাঁতরাগাছির বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে শহর কলকাতার সড়ক পথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বিদ্যাসাগর সেতু বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু। এছাড়া রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের জেরে এই সেতু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নিত্যদিন প্রায় ছোট বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। বয়সের নিরিখে বিদ্যাসাগর সেতু ৩৩ বছরে পা রেখেছে। ৮২৩ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ভারতে দীর্ঘতম কেবল সেতু। সেতু নির্মাণের পর থেকে ২৭ বছর কেটে গিয়েছে। ফলে সেতু নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত স্টে কেবল, হোল্ডিং ডাউন কেবল, ডেক স্ল্যাব, এক্সপ্যানশন জয়েন্ট প্রভৃতিরও আয়ু ২৫ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এখন সেগুলি বদলের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেতু বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনও সেতু দিয়ে টানা পঁচিশ বছর গাড়ি যাতায়াত করলেই তা সংস্কার প্রয়োজন। নইলে যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ। সংস্কারের জন্য রবিবার দিনভর বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু।