ডিজিটাল ডেস্ক ২৫ অগাস্টঃ নয়ডার পর এবার হায়দরাবাদ। গর্ভবতী স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে হত্যার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু হত্যাই নয়, স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে মুসি নদীতে ফেলে দেওয়ার খবরও মিলেছে। ঘটনা ঘিরে শোরগোল দক্ষিণের এই শহরে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামীকে। খুনের কথা কবুলও করেছে সে(Hyderabad Wife Murder)।
দীর্ঘদিন প্রেম করার পর গত বছর জানুয়ারি মাসে পেশায় ট্যাক্সিচালক মহেন্দ্র রেড্ডির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ২১ বছরের স্বাতী যাদবের। একটা সময়ে হায়দরাবাদেই একটি কল সেন্টারে কর্মরত ছিলেন তিনি। মহেন্দ্র তাঁকে অত্যন্ত সন্দেহ করত। বাধ্য হয়েই চাকরি ছেড়ে দেন স্বাতী। সম্প্রতি গর্ভধারণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিত্যদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। দুই পরিবারেরও বনিবনা হত না।
গত শনিবার বিকেলেও স্বাতী এবং মহেন্দ্র ঝামেলা হয়। স্বাতী জানিয়েছিলেন, মেডিক্যাল চেকআপের জন্য তিনি ভিকারাবাদে বাপের বাড়িতে যাবেন এবং তার পর থেকে সন্তান প্রসব না করা পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন। এতেই আপত্তি তোলে মহেন্দ্র। পুলিশের অনুমান, ঝগড়া ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং রাগের মাথায় স্ত্রীর গলা টিপে খুন করে মহেন্দ্র। পুলিশের দাবি শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ হত্যা করা হয় স্বাতীকে। পুলিশের আরও দাবি, শনিবার বিকেলে স্বাতীকে হত্যার পড়ে অপরাধ গোপন করার লক্ষ্যে তাঁর দেহটি একটি কড়াত দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করেছিল মহেন্দ্র। তাঁর মাথা, দুই হাত ও দুই পা ধড় থেকে আলাদা করে দিয়েছিল সে। এর পরে মুসি নদীতে কাটা মাথা, হাত ও পা ফেলে দিয়েছিল সে। ধড়টি অবশ্য একটি ট্রাঙ্কে ভরে ঘরেই রেখে দিয়েছিল।
এর আগেও মহেন্দ্র বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে থানায় গিয়েছিলেন স্বাতী। পরে প্রবীণদের মধ্যস্থতায় আপস করতে রাজি হন। কিন্তু এই শনিবার বচসা চরম আকার ধারণ করে।
পুলিশের দাবি, এর পরে এক আত্মীয়কে ফোন করে মহেন্দ্র জানিয়েছিল স্বাতী হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। আত্মীয়দের মধ্যে অনেকেরই সন্দেহ হয়। তারাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশে এসে মহেন্দ্র ঘরে তল্লাশি চালাতে ট্রাঙ্কবন্দি অবস্থায় স্বাতীর ধড় পাওয়া যায়। ধড়টি যে স্বাতীরই এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে DNA পরীক্ষা করা হবে। মুসি নদীতে ফেলে দেওয়া দেহাংশগুলি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।