Khejuri: খেজুরিতে ২ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু মামলায় সিআইডিতেই আস্থা হাই কোর্টের তদন্তে সিআইডি

70

ডিজিটাল ডেস্ক ২৫ অগাস্টঃ সিবিআই গ্যালারি শো করছে, তাই তদন্ত করবে সিআইডি। খেজুরিতে ২ বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় সাফ জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। ডিআইজি পদমর্যাদার একজন আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট গঠন করবেন এডিজি সিআইডি। হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও থাকবেন সিটে। সোমবার মৌখিক পর্যবেক্ষণে সেকথা জানান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ(Khejuri)। মঙ্গলবার সকালে চূড়ান্ত নির্দেশ দেবেন তিনি।

এই মামলার শুনানিতে সোমবার হাই কোর্টে এজি বলেন,প্রথম মামলাটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এক। কিন্তু দ্বিতীয় মামলায় সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিচারপতি বলেন, এই আলাদা রিপোর্টের কারণে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণ কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকদের মতামতের এত পার্থক্য কেন?এতে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

মামলাকারীর দাবি,“আমাদের রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই। সিবিআই চাইছি।” তা শুনে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলা এখনও সেই পর্যায়ে নেই। সিবিআই এখন গ্যালারি শো করছে। পরে পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। বিচারপতির নির্দেশ, ডিআইজি সিআইডির তত্ত্বাবধানে একটি দল গঠন করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে। মাসখানেকের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বছর তেইশের সুজিত দাস এবং পঁয়ষট্টি বছর বয়সি চন্দ্র পাইকের মৃত্যু হয়। সুজিত পূর্ব ভাঙনমারি গ্রামের বাসিন্দা। চন্দ্র ঝাঁটিহারি বাসিন্দা। খবর পেয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় খেজুরি থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দেরও একই দাবি। তাঁরা জানান, অনুষ্ঠানস্থলের কাছে একটি হ্যালোজেন লাইট খুলে পড়ে দুই ব্যক্তির উপর। তার জেরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। তবে শুভেন্দুর দাবি, ওই ব্যক্তিদের পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, মৃতদেহগুলিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই মর্মে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়।