DA Case Supreme Court : ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছল ডিএ মামলার শুনানি

74

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ অগাস্ট : সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন একটি মামলায় ব্যস্ত থাকার কারণে রাজ্যের আইনজীবীরা ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের পক্ষে অন্যতম আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, তাঁরা আদালতকে মামলাটি ১০ সেপ্টেম্বরের পর শুনতে অনুরোধ করেছিলেন। শীর্ষ আদালত সেই অনুরোধ গ্রহণ করেছে। তবে, সেপ্টেম্বর মাসে ঠিক কবে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, তা এখনও জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট (DA Case Supreme Court)।

২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। আদালত জানায়, ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার, এবং তাঁরা কেন্দ্রীয় হারে তা পাওয়ার যোগ্য। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। কিন্তু সেখানে গিয়েও ধাক্কা খেতে হয় রাজ্যকে। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ রাজ্যকে মিটিয়ে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে রাজ্যকে ৬ সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেয়। এই প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি চলছিল, যা মঙ্গলবার ফের পিছিয়ে গেল।

মামলার আগের শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, বকেয়া ডিএ মেটানোর বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কত টাকা বকেয়া রয়েছে এবং কর্মচারীরা ঠিক কত পাওনা, তা নির্ধারণের জন্য হিসাব কষে দেখতে হবে। কলকাতা হাইকোর্ট সেই হিসাব সরাসরি দেয়নি বলেই রাজ্য আরও দুই মাস সময় চেয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।

তবে শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন উঠেছে—যদি দিল্লি বা চেন্নাইয়ে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান, তাহলে রাজ্যে কর্মরত কর্মীরা কেন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত?

রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বাধ্যতামূলক নয় এবং এটি কর্মীদের মৌলিক অধিকারও নয়। রাজ্য আরও দাবি করে, কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো এক নয়, তাই কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয়, তা রাজ্যের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

অন্য দিকে, মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য ছিল, নির্ধারিত সময়মতো ডিএ প্রদান সরকারের নীতিগত দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। খেয়ালখুশি মতো ডিএ দেওয়া যায় না। তাঁদের দাবি, বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিএ দিতে হবে। প্রয়োজনে বকেয়া ডিএ কিস্তিতে পরিশোধ করা যেতে পারে।

এই মামলারই শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে অগস্টে পরপর দু’দিন ডিএ মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল।

এবারের শুনানিতে বেঞ্চে বিচারপতি পরিবর্তন হয়েছে। বিচারপতি প্রশান্ত মিশ্রর জায়গায় এসেছেন বিচারপতি সন্দীপ মেহতা। যদিও এর আগেও তিনি বিচারপতি সঞ্জয় কারেওলের সঙ্গে ডিএ মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন, তবে বিচারপতি মিশ্রর মতো মামলার সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁর ততটা স্পষ্ট ধারণা নেই।