ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ অগাস্ট : স্বামীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। নিহত ব্যক্তির নাম ভোলা হালদার। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে, বাগুইআটির জগতপুরের চড়কতলা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্ত্রী, উপাসনা হালদার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য (Wife Killed Husband)।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন। তবে তদন্তকারীরা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছেন। অভিযুক্ত উপাসনার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত হত্যার সঠিক কারণ স্পষ্ট নয়।
ভোলা হালদার ও তাঁর স্ত্রী উপাসনা হালদার কিছু মাস আগে বাগুইআটির জগতপুরের চড়কতলা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। ভোলা পেশায় কলকাতা বিমানবন্দরের কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে হঠাৎ তাঁদের ঘর থেকে পোড়া গন্ধ পেতে শুরু করেন প্রতিবেশীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন তাঁরা। কী কারণে ধোঁয়া উঠছে, তা জানতে কৌতূহলবশত প্রতিবেশীরা দ্রুত ছুটে যান ওই বাড়িতে। দরজা খোলার পর তাঁরা দেখতে পান, উপাসনা হালদার ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু নথি আগুনে পুড়িয়ে ফেলছেন। এই দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ঘটনার জেরে এলাকায় আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা জোর করে ঘরে ঢুকে পড়েন এবং তৎক্ষণাৎ বাড়ির মালিককে খবর দেন। বাড়ির মালিক এসে ঘরের ভিতরে ঢুকে বাথরুমে ভোলা হালদারের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়।
পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভোলা হালদারের শরীরে একাধিক গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করা হয়েছে তাঁকে। যদিও চূড়ান্ত তথ্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।