TMCP’s foundation day: তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়,সমাবেশে যোগদানে তৎপর ছাত্রছাত্রীরা,শেষ মুহূর্তে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিধান্ত বদল

88

ডিজিটাল ডেস্ক ২৮শে অগাস্টঃ বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে অর্থাৎ ২৮শে অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরীক্ষা পরা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি চরমে উঠেছিল। এই আবহেই প্রত্যেকবারের মতো আজ সকাল থেকেই চিত্রে খানিকটা একই রেশ বজায় থাকল। আজ সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্রছাত্রীদের আসতে দেখা আজকের সমাবেশে যোগদান করতে। পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তৃনমূল যে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছিল সেই ছবিও বজায় থাকল শেষলগ্ন পর্যন্ত। যেখানে দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কলেজেই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় যোগদান করতে। অন্যদিকে কলকাতার আবার প্রত্যেকটা কলেজ থেকেই ছাত্রছাত্রীরা এই সমাবেশে এখনও যোগ দিচ্ছে। শুধুমাত্র কলকাতা থেকেই নয় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দুর্গাপুর প্রায় জেলার অধিকাংশ কলেজ থেকেই ছাত্রছাত্রীরা এসেছে এই সমাবেশে যোগদান করতে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুনতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুনতে(TMCP’s foundation day)।

নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই বৃহস্পতিবার (২৮ অগাস্ট) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হঠাৎ ঘোষণা করে— “অনিবার্য কারণে” পরীক্ষা স্থগিত রাখা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্তে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীব্র অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এখনও জানায়নি কবে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, একই দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপাচার্য শান্তা দত্ত কোনও ‘চাপেই’ নতি স্বীকার করেননি। এমনকি শিক্ষা দফতরের তরফ থেকেও পরীক্ষা পিছোনোর অনুরোধ এসেছিল, কিন্তু তিনি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা ভাঙতে রাজি হননি।

সোমবার একাধিক কলেজের অধ্যক্ষ চিঠি পাঠান উপাচার্যের কাছে। সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, বঙ্গবাসী কলেজ-সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছাত্রছাত্রী, নন-টিচিং স্টাফ, এমনকী কিছু সংগঠনও নাকি পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজি নন। তাঁদের বক্তব্য,২৮ অগস্ট পরীক্ষার দিন নির্ধারণ হলে শিক্ষার্থীদের একাংশ সমস্যায় পড়বেন।

কিন্তু সেই আর্জিকে কার্যত গুরুত্বই দেননি শান্তা দত্ত দে। তিনি স্পষ্ট বলেন, “পরীক্ষা কি কোনও পিকনিক নাকি? বিশ্ববিদ্যালয় তার অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে। পরীক্ষায় বসা পড়ুয়ার দায়িত্ব, অধ্যক্ষ যদি চিঠি ফরওয়ার্ড করে দেন, তবে শিক্ষায় ডিসিপ্লিন বলে কিছু থাকবে না।”